সুজিৎ নন্দী : [২] সকাল ১১টা থেকে দুপুর ৩টা। নগরীর নিউমার্কেট, গাউছিয়া, চন্দ্রিমা মার্কেট, হকার্স মার্কেট, নূরজাহান মার্কেট, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, এলিফ্যান্ট রোড, বায়তুল মোকাররম আর গুলিস্তানে মানুষের তিল ধরানোর ঠাঁই ছিলো না। ক্রেতাদের বেশির ভাগই বলছেন, নিজেদের নয়, শিশুদের জন্য পোষাক কিনতে এসেছেন।
[৩] নিজ নিজ এলাকায় কেনাকাটা করার কথা থাকলেও মিরপুর-১ থেকে এসেছে নিউমার্কেট, কেরাণীগঞ্জ থেকে গুলিস্তান, বসুন্ধারা আবাসিক এলাকা থেকে চন্দ্রিমা মার্কেটের সামনে। ঈদের আগের দিন চার ঘন্টা সরেজমিনে নগরীর এই স্পট ঘুরে এরকম চিত্র চোখে পরে।
[৪] পাশাপাশি রাজধানী সুপার মার্কেট ছাড়া নগরীর খোলা থাকা সুপার মার্কেটগুলোতে ক্রেতার দেখা মিলিছে কম। একাধিক ব্যবসায়ি জানান, মার্কেটগুলোতে মানুষ কম এসেছে। বসুন্ধরা ও যমুনা ফিউচার পার্ক বন্ধ থাকাতে মানুষ অনলাইনে অর্ডার দিয়ে পোষাক কিনেছে। তবে একাধিক ক্রেতা আড়ং এ অর্ডার দিয়ে পোষাক পায়নি এরকম অভিযোগ ও করেছে।
[৫] বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলালউদ্দিন বলেন, কিছু মানুষ নিয়ম মেনে বাজার করার চেষ্টা করেছে। তবে ফুটপাতে কোন নিয়মই মানা হয়নি। তবে আমরা মানুষকে অনলাইনে পোষাক কিনতে দেখেছি।
[৬] তিনি আরো বলেন, অনলাইনে কেনাকাটা করাকে সবসময় স্বাগত জানায়। এটির জন্য একটি নীতিমালা প্রয়োজন। না হলে ক্রেতা বা গ্রাহকরা প্রতারিত হবে।
[৭] দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাঈদ সুফি বলেন, বাজার খুললেও কোন ক্রেতা নেই। ক্রেতাদের মধ্যে নিয়ম ভাঙ্গার প্রবণতা আছে। নেই চিরচেনা সেই উৎসবের পরিবেশ। তবে ফুটপাত ছিলো জমজমাট। এবার ঈদে ব্যবসায়িদের যে ক্ষতি হলো তা পূরণ করার মতো নয়।
[৮] সরেজমিনে দেখা গেছে, তুলনামূলক বিত্তবানদের জন্য যেসব মার্কেট খোলা হয়েছে, সেসব মার্কেটে ক্রেতার উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য ছিল না। মার্কেটে এবং দোকানে প্রবেশের আগে জ্বর পরিমাপ করা, জীবাণুনাশক কক্ষের ভেতর দিয়ে প্রবেশের ব্যবস্থা রাখা হলেও করোনা সংক্রমণের ভয়ে ক্রেতারা আসেননি মার্কেটগুলোতে।