মনিরুল ইসলাম : [২] করোনা ভাইরাস সংক্রমণে এবার রাশিয়াকে ছাড়িয়ে গেলো ব্রাজিল। লাতিন আমেরিকার এই দেশটিতে গোড়ার দিকে অল্পসল্প সংক্রমণের খবর মিললেও, অসচেতনতার জেরে তা বড় আকার ধারণ করে। এবার করোনা মহামারিতে রেকর্ড গড়ল আমাজনের দেশ।
[৩] বিশ্বে সংক্রমণের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে এই মুহূর্তে আক্রান্তের সংখ্যা সাড়ে তিন লক্ষ ছুঁইছুঁই। মৃত্যু হয়েছে ২২,১৬৫ জনের। মরণ ভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধিও মানা হয়নি বলে এই পরিস্থিতি। অভিযোগে সরব দেশবাসী।
[৪] রোববার ২৪ মে কলকাতার সংবাদ প্রতিদিন-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনটি দুপুর বেলা প্রকাশিত হয়েছে পত্রিকাটির অনলাইন ভার্সনে।
[৫] প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, মে মাসের গোড়ার দিকেই করোনা সংক্রমণের হটস্পট হিসেবে নাম উঠে এসেছিল ব্রাজিলের। তখনই বোঝা গিয়েছিল, এদেশে বিপদ বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টাতেই সেখানে হাজার মানুষের প্রাণহানি হয়েছে সে দেশে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংখ্যাটা আরও অনেক বেশি। গত কয়েকদিনে সংক্রমণ ১৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মত তাদের।
এদিকে, প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) জরুরি অবস্থা বিভাগে শীর্ষ কর্তা মাইক রায়ান বলছেন, ওই অঞ্চলের বিভিন্ন দেশেই করোনা সংক্রমণের চিত্রটা নতুন করে উদ্বেগের হয়ে উঠছে। তবে ব্রাজিলই কেন্দ্রবিন্দু। এই দেশই সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত। জুনের মধ্যে এই সংক্রমণ শীর্ষে উঠে যাবে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। পরিসংখ্যান বলছে, গত চার দিনের মধ্যে তিনদিনই মৃত্যুর সংখ্যাটা গড়ে ১০০০।
[৬] প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ব্রাজিলের ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো নোভেল করোনা ভাইরাসকে প্রথমে ‘লিটল ফ্লু’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। এমনকী তাঁর নিজেরও অন্তত ৩ থেকে ৪বার করোনা পরীক্ষা হয়েছে। কখনও তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। আবার কখনও নেগেটিভ। বিষয়টিকে সেভাবে গুরুত্ব না দিয়ে তিনি দেশে নামকাওয়াস্তে ‘Stay-at-home’ ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু তাতে বিশেষ সুবিধা হয়নি। সেভাবে নিয়ম পালন না করায় সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। যার জেরে হু হু করে আক্রান্ত হয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই মুহূর্তে ব্রাজিলের চিকিৎসা ব্যবস্থাও বিশেষ ভাল নেই। লাগামছাড়াভাবে অসুস্থ বাড়তে থাকায় চাপ পড়ছে হাসপাতালগুলিতে। সবমিলিয়ে, দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটি করোনাভাইরাসে বিধ্বস্ত।
আপনার মতামত লিখুন :