শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ২৪ মে, ২০২০, ০৬:১৭ সকাল
আপডেট : ২৪ মে, ২০২০, ০৬:১৭ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] কুমিল্লায় ঈদের উপহার কিনে দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২ মেয়েকে ডোবার পানিতে চুবিয়ে হত্যা, বাবা ও সৎ মা গ্রেপ্তার

ডেস্ক  রিপোর্ট : [২] এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার নবীপুর গ্রামে। হত্যাকাণ্ডের শিকার স্বর্ণা আক্তার (১১) ও ফারিয়া আক্তারের (৬) মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (কুমেক) মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শিশুদের আপন মা সোনিয়া আক্তারের দায়ের করা মামলায় নিহতদের বাবা সুমন মিয়া (৪১) ও তাদের সৎমা রুনা বেগমকে (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।

[৩] মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈদ উপলক্ষে পায়ের নূপুর, নাকে নোলক এবং মেহেদী কিনে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে স্বর্ণা ও ফারিয়াকে ডেকে নিয়ে যায় রুনা বেগম। ইফতারের পরও তারা বাড়ি না আসায় সোনিয়া তার সতীনের বাড়ি যায়। এ সময় রুনার শরীরে কাপড় ভেজা দেখে তার সন্দেহ হয়। রুনার শরীর ভেজা দেখার পর গ্রামের বিভিন্ন পুকুরে খোঁজা-খুজি শুরু করেন সোনিয়া। পরে রব্বান মিয়া নামে এক স্থানীয়ের ডোবায় তার সন্তানের জুতা ভাসতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। এলাকাবাসী ছুটে এসে ডোবায় খোঁজ চালিয়ে স্বর্ণা ও ফারিয়াকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে। পরে তাদের মুরাদনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক স্বর্ণা ও ফারিয়াকে মৃত ঘোষণা করে।

[৩] নিহত শিশুদেরমা আরও জানান, ৩ বছর আগে তাকে না জানিয়ে রুনাকে বিয়ে করেন সুমন। তার ঘরে না রেখে স্থানীয় বাতেন মিয়ার বাড়িতে রুনাসহ ভাড়া থাকতেন তিনি। সুমন তার ও সন্তানদের কোনো খোঁজ-খবর রাখতেন না। বাবার বাড়ি থেকে টাকা এনে গ্রামে মুরগির ফার্ম দেন সোনিয়া। সেই টাকা দিয়ে নিজের সংসার চালাতেন। তার মা ২ নাতনিকে ঢাকায় একটি স্কুলে ভর্তি করায়। তবে লকডাউন ‍শুরু হওয়ায় স্বর্ণা ও ফারিয়া নবীপুর গ্রামে তার কাছে চলে আসে।

[৪] সোনিয়া বলেন, স্বর্ণা ও ফারিয়া আসার পর থেকেই রুনা তাদের পেছনে লাগে। কিছুদিন আগে আমার ছেলে শুভ মিয়াকে (১৩) নবীপুর তামিরুল উম্মাহ এতিমখানা ও মাদরাসা থেকে মা পরিচয় দিয়ে আনতে যায় রুনা। তখন মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ আমাকে ফোন দিলে তাকে সতিন বলে পরিচয় দেই। তাদের এও বলি, রুনার কাছে আমার ছেলেকে দিয়েন না, দিলে মেরে ফেলবে। শুক্রবার সে আমার মেয়েদের মেরে ফেলে। আমি আমার ২ বাচ্চাকে হত্যার বিচার চাই।

[৫] মুরাদনগর থানার ওসি একেএম মনজুর আলম বলেন, শিশুদের উদ্ধারের পর তাদের থুতনির নিচে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পূর্বপশ্চিম, বাংলাদেশটাইমস, আরটিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়