ডেস্ক রিপোর্ট : গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘কিট বিপণনের জন্য ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন দরকার। কিন্তু যারা হাসপাতালে ঘুরে টেস্ট করাতে পারছে না, আমরা তাদের টেস্ট করিয়ে দিতে চাচ্ছি। এ জন্য যে অনুমোদনটুকু প্রয়োজন, সেটা বিএসএমএমইউ আমাদের দিয়েছে। এটাকে ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন বলে। এখানে অন্য কোনো জটিলতা থাকার কথা না।’ সারাবাংলা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ)-এর অনুমতি সাপেক্ষে ২৬ মে থেকে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন শুরু হবে। ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল এবং সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে এ ভ্যালিডেশন কার্যক্রম চলবে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ওষুধ প্রশাসনের অনুমোদন সাপেক্ষে এরই মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় কোভিড-১৯ শনাক্তকরণে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত কিটের এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন শুরু করেছে। তবে রেজিস্ট্রেশন পেতে হলে এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশনের পাশাপাশি কিটের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশনও করতে হয়। সেজন্য কিট উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানকে ডেডিকেটেড প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হয়।
গণস্বাস্থ্য কিটের ভ্যালিডেশনের জন্য যেহেতু বিএসএমএমইউকে অনুমতি দিয়েছে ওষুধ প্রশাসন, সেহেতু ইন্টারনাল ভ্যালিডেশনের বিএসএমএমইউ’র কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন ছিল প্রতিষ্ঠানটির। সেই অনুমতি গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র পেয়েছে বলে জানা গেছে। এই অনুমতির ভিত্তিতেই ২৬ মে থেকে ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল ও সাভারের গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে একযোগে ‘জিআর কোভিড-১৯ ডট ব্লোট’ প্রকল্পে উৎপাদিত কিটের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন শুরু হবে।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কিটের উদ্ভাবক ডা. বিজন কুমার শীল বলেন, ‘রেজিস্ট্রেশনের জন্য কিটের দু’ধরনের ভ্যালিডেশন প্রয়োজন। একটা হলো এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন, আরেকটি ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন। বিএসএমএমইউতে এক্সটার্নাল ভ্যালিডেশন হচ্ছে। তাদের অনুমতি সাপেক্ষেই গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন হবে। এটা বিএসএমএমইউ’র ভ্যালিডেশনেরই এক্সটেনশন বলা যেতে পারে।’
সূত্র মতে, এই ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন মূলত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল। সাসপেক্টেড রোগীর ওপর এটাও একধরনের পরীক্ষা। তাই যে কেউ গণস্বাস্থ্য নগর হাসপতাল বা সাভার গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হাসপাতালে গিয়ে স্যাম্পল দিলে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণ টেস্ট করে দেবে প্রতিষ্ঠানটি।
আপনার মতামত লিখুন :