আক্তারুজ্জামান : [২] ভ্যাকসিনটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পর গতকাল শুক্রবার প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে চিকিৎসা বিষয়ক বিখ্যাত সাময়িকী দ্য ল্যানসেট। তবে এই ভ্যাকসিনটি এখনই ব্যবহার করা হবে না। কেননা এর ব্যবহারের শতভাগ নিশ্চিত হতে আরও দুটি ট্রায়ালের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
[৩] প্রথম ধাপে ১০৮ জন স্বাস্থ্যবান স্বেচ্ছাসেবীকে নিয়ে ভ্যাকসিনটির ট্রায়াল দেয়া হয়। ২৮ দিন বাদে বিজ্ঞানীরা ‘আশা জাগানিয়া’ ফল পান। বাকি দুটি ধাপের ট্রায়াল শেষ হতে হতে আরও ছয় মাস সময় লাগবে।
[৪] ল্যানসেট জানিয়েছে, (Ad5-nCoV) ভ্যাকসিনটি মানুষের শরীরে নিরাপদ, সহনশীল এবং নভেল করোনার বিরুদ্ধে ভালো রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।
[৫] মানুষের শরীরে ক্ষতিকর ভাইরাস প্রবেশ করলে রক্তে আপনা-আপনি এক ধরনের প্রতিরোধক ব্যবস্থা (অ্যান্টি-বডি) গড়ে ওঠে। অধিকাংশ ভাইরাস সেই অ্যান্টিবডির কারণে শরীরের ক্ষতি করতে পারে না। কিন্তু করোনাভাইরাস পারছে। একে প্রতিরোধ করতে হলে টিকার মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধক ব্যবস্থাকে (ইমিউন সিস্টেম) শক্তিশালী করা দরকার।
[৬] বিজ্ঞানীরা সেই চেষ্টায় চীনে এখন পর্যন্ত পাঁচটি প্রতিষ্ঠান ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করেছে। ল্যানসেট যেটির খবর দিল, সেটি নিয়ে কাজ করছে বেইজিং ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজি। প্রতিষ্ঠানটির প্রফেসর ওয়েই চেন প্রথম ধাপের ডেটা বিশ্লেষণকে ‘গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক’ বলেছেন।
[৭] কোনো প্রতিষেধক না থাকা কোভিড-১৯ রোগের ভ্যাকসিন তৈরি করতে চীনসহ কয়েকটি দেশ উঠেপড়ে লেগেছে। এর মধ্যে ১২টি কোম্পানিও চেষ্টা করছে। চীনের সঙ্গে যৌথভাবে জার্মানি কাজ করছে।
আপনার মতামত লিখুন :