আক্তারুজ্জামান : [২] দিল্লিসহ ভারতের বেশীর ভাগ অঞ্চলে কমবেশি ২০ টাকা প্রতি কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি হলেও একটা বড় অংশের কৃষক মাত্র ৫৯ পয়সা প্রতি কিলো দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। বাংলা হান্ট
[৩] ভারতের সরকারি ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, গত ১০ দিন ধরে অনেক পাইকারি বাজারে ৫৯ পয়সা থেকে সাড়ে তিন টাকা প্রতি কিলো দরে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে সরকারের প্রতিশ্রুত ২০২২ দ্বিগুন উপার্জন যে পেঁয়াজ চাষীদের ক্ষেত্রে এখনো অসম্ভব সে বিষয়ে সন্দেহ নেই কারোরই।
[৪] মোদী সরকারের দেয়া তথ্যে যতই কৃষক সমৃদ্ধির ছবি থাকুক। কিন্তু বাস্তব মাটিতে দাঁড়িয়ে পেঁয়াজ চাষীরা নিজেদের নূন্যতম দামও পাচ্ছেন না। সাধারণ মানুষের যেখানে ২০ টাকা প্রতি কিলো দরে পেঁয়াজ কিনতে হচ্ছে, আর চাষীরা সর্বোচ্চ ৩ টাকা প্রতি কিলো দরে বিক্রি করছেন৷ তাহলে মাঝের এই বিরাট অর্থরাশি কাদের পকেটে যাচ্ছে সে ব্যাপারে মাথাব্যাথা নেই সরকারের।
[৫] গত কয়েক বছরে খুব কম দিনের জন্যই ১-২ টাকা প্রতি কেজি দরে পেঁয়াজ কিনতে পেরেছে মানুষ। মোটামুটি ২০ – ২৫ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হয়। কখনো কখনো পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকাও ছড়িয়ে যায়। কিন্তু চাষীরা সারা বছর একই দাম পায়। কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলেন একটি অর্গানাইজড দালাল চক্র সহজেই কৃষকদের নিজেদের শিকার বানিয়ে নেয়।
[৬] ভারতে পিঁয়াজের মোট উত্পাদন বার্ষিক ২৫-৫০ মিলিয়ন মেট্রিক টনের মধ্যে থাকে। প্রতি বছর দেশে কমপক্ষে ১৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন পেঁয়াজ বিক্রি হয়। স্টোরেজ চলাকালীন প্রায় ১০ থেকে ২০ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ নষ্ট হয়। ২০১৯ সালে, ৩২ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ পচা হয়েছিল। গড়ে ৩৫ লক্ষ মেট্রিক টন পেঁয়াজ রফতানি করা হয়