সুজন কৈরী : [২] পুলিশ পরিচালিত জাতীয় জরুরী সেবা বিভাগ শনিবার জানায়, শুক্রবার মধ্য রাতে ৯৯৯ নম্বরে এক নারী ঢাকার কামরাঙ্গীরচর থেকে ফোন করে জানান, কিছুদিন আগে গর্ভপাত হয়ে তার একটি সন্তান নষ্ট হয়েছে। এ নিয়ে স্বামীর সাথে তার মনোমালিণ্য হয়।
[৩] শুক্রবার রাতেও স্বামী ও স্বামীর ভাবী অনেক গালিগালাজ করেছে ও মারধর করেছে ওই গৃহবধুকে।
[৪] ভুক্তভোগী নারী আরও জানান, তার সাত বছরের একটি সন্তান রয়েছে এবং তিনি একজন আইনজীবী। তিনি মানসিক ভাবে অত্যন্ত বিপর্যস্ত, তিনি আর বেঁচে থাকতে চাননা, তিনি বিশটি ঘুমের ট্যাবলেট খেয়েছেন। তার অবস্থা শঙ্কটাপন্ন। তার মৃত্যুর জন্য তার স্বামী আর স্বামীর ভাবী দায়ী।
[৫] ৯৯৯ এর পরিদর্শক আনোয়ার সাত্তার বলেন, ওই নারী তার অবস্থান জানাতে অনীহা প্রকাশ করলেও কৌশলে পুলিশ অবস্থানটি জেনে নেয়। একপর্যায়ে ওই নারী তার ফোন সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন এবং ৯৯৯ থেকে তাকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। এরপর ৯৯৯ থেকে তাৎক্ষনিক বিষয়টি কামরাঙ্গীরচর থানার ওসি ও ডিউটি অফিসারকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়। সংবাদ পেয়ে কামরাঙ্গীরচর থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে যায়।
[৬] শনিবার ভোর পৌণে ৪টায় কামরাঙ্গীরচর থানার এসআই মোর্শেদ ৯৯৯কে জানান, তারা ঘটনাস্থল থেকে অচেতন অবস্থায় গৃহবধূকে উদ্ধার করে পুলিশের টহল গাড়ীতে করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করেন। হাসপাতালের ডাক্তার এবং চিকিৎসা কর্মীরা দ্রুত ভুক্তভোগীর পাকস্থলী পরিষ্কার করেন। ওই নারী বর্তমানে শঙ্কামুক্ত।