অলক কুমার দাস, টাঙ্গাইল : [২] টাঙ্গাইলে সদর উপজেলার দূর্নীতিবাজ প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) মারধরের অভিযোগে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) একেএম মমিনুল হক বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই কর্মকর্তা।
[৩] মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টার দিকে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তার অফিসকক্ষে অবস্থানকালে ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হুদা নবীন তার ৪/৫ তার জন ওই কক্ষে প্রবেশ করে।
[৪] তারা সরকারি কাজে বাঁধাদান করে অবৈধভাবে ত্রাণের কিছু স্লিপ তাকে (পিআইও) দেন। তখন পিআইও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার অনুমতি ছাড়া অবৈধভাবে ত্রাণ দিতে অস্বীকার করেন। এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে অফিসের দরজা বন্ধ করে দিয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা পিআইওকে শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথারী কিল ঘুষি দেন। তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা ভয়ভীত দেখিয়ে ও হুমকি দিয়ে চলে যান।
[৫] পরে পিআইও মমিনুল হক টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে পরামর্শ করে থানায় মামলা করতে বিলম্ব হলো।
[৬] তবে স্থানীয় ও অফিস সূত্র জানিয়েছে, পিআইও একেএম মমিনুল হক অত্যন্ত দূর্নীতিবাজ কর্মকর্তা। তিনি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে এই দূর্নীতি করেন। সূত্র আরো জানায়, একজন নিকট আত্মীয় মন্ত্রনালয়ে চাকরি করে বলে সকলকে ভয় দেখিয়ে সকল কাজে দূর্নীতি করে থাকে। তার ভয়ে অফিসের লোকজনও কথা বলতে ভয় পায়। সূত্র জানায়, এছাড়া সর্বশেষ ২৫০০ টাকা অনুদানের তালিকা প্রস্তুত থেকে শুরু করে টাকা বিতরণ পর্যন্ত ব্যাপক দূর্নীতি করেছেন তিনি।
[৭] পিআইওকে মারধর করা প্রসঙ্গে নাজমুল হুদা জানান, প্রধানমন্ত্রীর দেয়া ২৫০০ টাকার তালিকা প্রস্তুত ও টাকা বিতরণ নিয়ে উনার সাথে কথা বলতে গেলে উনি আমার সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। পরে উনার সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়। তবে মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি। উনি আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্যই এই মামলা করেছেন।
[৮] টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোশারফ হোসেন নাজমুল হুদার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।