ডেস্ক রিপোর্ট : [২] তার এই অসীম সাহসের কাহিনী ছড়িয়ে পড়েছে ভারতের মিডিয়ায়। সে সঙ্গে কপালটাও খুলে যাচ্ছে তার। ভারতের কেন্দ্রীয় সাইক্লিং ফেডারেশন আগামী মাসে অনুষ্ঠিতব্য ন্যাশনাল ক্যাম্পে ট্রায়ালের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে অদম্য জয়তিকে। লকডাউনে পড়ে ভারতের গুরগাঁও থেকে সাইকেলের পেছনে অসুস্থ বাবাকে বসিয়ে বিহারে নিজেদের বাড়িতে নিয়ে এলো সে ।
[৩] করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপি তৈরি হয়েছে কত-শত গল্প। সে সবের খুব কমই আসে মানুষের কাছে। লকডাউনের কারণে ভারতেরই এক মা ১৪০০ কিলোমিটার স্কুটি চালিয়ে গিয়ে ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফিরে বিস্ময় তৈরি করেছিলেন। সেই মা না হয় যন্ত্রচালিত স্কুটি চালিয়েছিলেন। কিন্তু কিশোরী জয়তি কুমারি তো নিজের শরীরের শক্তি ব্যয় করে, প্যাডেল চেপে পাড়ি দিয়েছে ১২০০ কিলোমিটার রাস্তা।
[৪] লকডাউনের কারণে ভারতের এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে কিংবা শহরে যাওয়া শ্রমিকরা যখন বাড়ি ফিরতে শতশত কিলোমিটার পাড়ি দিচ্ছে, তখন অসুস্থ বাবাকে সাইকেলের পেছনে বসিয়ে কিশোরী জয়তির এত বিশাল পরিমাণ পথ পাড়ি দেয়ার খবর আলোড়ন সৃষ্টি করেছে ভারতজুড়ে।
[৫] লকডাউনের কারণে গুরাগাঁওয়ে আকটা পড়েন জয়তি এবং তার বাবা। উপায় না দেখে অদম্য মেয়ে বাবাকে বলে তার পেছনে সাইকেলের ক্যারিয়ারের ওপর বসতে। এরপর টানা ৭দিন সাইকেলের প্যাডেল ঘুরিয়েছেন জয়তি কুমারি।
[৬] ভারতের সাইক্লিং ফেডারেশনের সভাপতি অঙ্কর সিং পিটিআইকে বলেন, যদি অষ্টম শ্র্রেণির ছাত্রী (জয়তি) কুমারি ট্রায়ালে টিকতে পারে, তাহলে তাকে ইন্দিরা গান্ধী ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়াম কমপ্লেক্সে ন্যাশনাল সাইক্লিং একাডেমির একজন ট্রেইনি হিসেবে নেয়া হবে। অঙ্কর সিং বলেন, জয়তি কুমারির ১২০০ কিলোমিটার সাইকেল চালানোর ঘটনা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই সাইক্লিং ফেডারেশনের নজরে পড়ে বিষয়টা। জয়তি যদি ট্রেনিংয়ে আসার সময় তার সঙ্গে কাউকে নিয়ে আসতে চায়, তাহলেও সেটা আমরা অনুমতি দেবো।
[৭] ন্যাশনাল সাইক্লিং একাডেমি আবার পরিচালিত হয় ভারত সরকারের অধীনে। এশিয়ার মধ্যে সাইক্লিংয়ে এই একাডেমিকেই মনে করা হয় সবচেয়ে আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একাডেমি হিসেবে। সাইক্লিংয়ের আন্তর্জাতিক সংগঠন ইউসিআইও (ইউনিয়ন সাইক্লিস্ট ইন্টারন্যাশনাল) এই স্বীকৃতি দিয়েছে। জাগোনিউজ
আপনার মতামত লিখুন :