শিরোনাম
◈ ভারত–বাংলাদেশ নিরাপত্তা সংলাপ: দুই দিনের বৈঠকে ‘ইতিবাচক বার্তা’ ◈ পেশাগত নিরাপত্তা, স্বাস্থ্য ও কর্মক্ষেত্র নিরাপত্তায় বৈপ্লবিক অগ্রগতি—আইএলওর ১০টি মৌলিক দলিল অনুমোদন করলো বাংলাদেশ ◈ প্রবাসী ভোটারদের রেকর্ড সাড়া—পোস্টাল ভোট অ্যাপে কোরিয়া-জাপান এগিয়ে ◈ সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণে সম্মতি খালেদা জিয়ার ◈ আজ সশস্ত্র বাহিনী দিবস ◈ চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে চুক্তির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ ◈ শ্রীলঙ্কাকে ৬৭ রা‌নে হারা‌লো  জিম্বাবুয়ে  ◈ রায়ের পর হাসিনাকে ফেরত দেয়ার দাবি জোরালো হচ্ছে ◈ রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি, চার মাসে এলো এক লাখ ১৯ হাজার কোটি টাকা ◈ প্রবাসী ভোটারদের সতর্কতা: ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর না দিলে পোস্টাল ভোট বাতিল

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২০, ০৬:৪৬ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০২০, ০৬:৪৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

পশ্চিমবঙ্গের জন্য মায়া লাগছে

ইমতিয়াজ মাহমুদ : আমপানের মূল ধাক্কাটা গেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উপর দিয়ে। আপনি যদি বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের মানচিত্র পাশাপাশি রাখেন তাহলে এই সাইক্লোনের যাত্রাপথটা দেখতে পাবেন- বঙ্গোপসাগর থেকে উঠে উত্তর চব্বিশ পরগনা, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা হয়ে কোলকাতা মহানগর, নদীয়া ও মুর্শিদাবাদ হয়ে ওদের গায়ে গায়ে লাগা খুলনা যশোর এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকেছে সাইক্লোনের মূল ধারাটা। কোলকাতার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার সময় সর্বোচ্চ ১৩৩ কিলোমিটার প্রতিঘটা গতিতে বয়ে গেছে ঝড়। এই সময় তুমুল বৃষ্টি হচ্ছিল।

 

সমুদ্র এখনো উথাল পাথাল, নদীগুলো এখনো উত্তাল। পশ্চিমবঙ্গের যে দুটি সমুদ্রতীরবর্তী পর্যটন এলাকা রয়েছে, দিঘা ও মন্দারমনি, সেই দুটি পর্যটনকেন্দ্রই একদম তছনছ হয়ে গেছে। এখন রাত বাজে দুইটা, কোলকাতায় ওদের মুখ্যমন্ত্রী এখনো জেগে বসে আছেন কন্ট্রোল রুমে। একটু আগে তিনি টেলিভিশনে বলছিলেন নবান্ন নামে বিল্ডিংটা থরথর করে কাঁপছে, তিনি তার নিজের অফিস কক্ষে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন।
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষয়ক্ষতি কী পরিমাণ হয়েছে সেটা হিসাব করতে পারছে না কেউ। হতাহতের সংখ্যাও নির্দিষ্ট করে কেউ বলতে পারছে না। বারোজনের মতো মানুষের মৃত্যুর খবর বলেছেন কেউ কেউ- কিন্তু পুরো সংখ্যা জানা যায়নি এখনো। কোলকাতা ল-ভ-। যেখানে সেখানে ল্যাম্পপোস্ট উল্টে পড়ে আছে।

 

নানা জায়গায় গাছ ভেঙে বা উল্টে পড়ে আছে রাস্তায়।আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও কম না। আমাদের যশোর চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া সম্ভবত সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা। হতাহতের খবর জানি না। দেশের বিভিন্ন জায়গায় জমিতে পাকা ধান বা প্রায় পাকা ধান ছিল। তুমুল বৃষ্টিতে ধান নষ্ট হবে, আর পানি উঠেও ধান ন্যস্ত হতে পারে। পুরো পরিস্থিতি জানা যাবে দুই একদিন পর। তবে প্রাথমিকভাবে যা মনে হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় আমাদের ক্ষয়ক্ষতি মোটামুটি সহনীয় মাত্রায়ই রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রতি জানাই সহানুভূতি ও সমবেদনা। প্রত্যাশা করি যে ক্ষতি করে গেলো সুপার সাইক্লোন আমপান, সেই ক্ষতি ওরা কাটিয়ে উঠতে পারবে। পশ্চিমবঙ্গের লড়াকু মানুষ নিশ্চয়ই সাহসিকতার সাথে লড়বে এই বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসার জন্য। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়