শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ২২ মে, ২০২০, ০৫:৪০ সকাল
আপডেট : ২২ মে, ২০২০, ০৫:৪০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বাংলাদেশি কামাল আহমেদের মৃত্যুতে নিউইয়র্ক টাইমসের শোক

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা যাওয়া প্রবাসী বাংলাদেশি কামাল আহমেদকে নিয়ে শোক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী দৈনিক পত্রিকা দ্য নিউইয়র্ক টাইমস। বিখ্যাত এই পত্রিকাটির ‘যাদের আমরা হারিয়েছি’ সিরিজে কামাল আহমেদকে ‘হোটেলকর্মী’ এবং ‘বাংলাদেশি কমিউনিটির লিডার’ হিসেবে পরিচয় করানো হয়েছে।

[৩] ২০ মে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের লাইনে-লাইনে কামাল আহমেদের মানবসেবার দৃষ্টান্ত তুলে ধরে বলা হয়, ‘১৯৭৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসার পর তিনি প্রবাসী স্বদেশবাসীর জন্য আস্থার জায়গায় পরিণত হন।’

[৪] নিউইয়র্ক বাংলাদেশ সোসাইটির দুবারের নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সিলেটের কামাল আহমেদ। করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে ৫ এপ্রিল তিনি এল্মহার্স্ট হাসপাতালে মারা যান।

[৫] ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘ম্যানহাটনের জাতিসংঘ প্লাজার মিলেনিয়াম হিলটন হোটেলে কামাল আহমেদ ক্যাটারিংয়ের কাজ করেছেন যুগ যুগ ধরে। বিশিষ্টজন, নানা দেশের কূটনীতিক, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীরা ছিলে ন তার গ্রাহক।’

[৬] ‘সংগঠনের মাধ্যমে তিনি তার দেশ থেকে আসা নতুন অভিবাসীদের কাজ, বাসা ইত্যাদি পেতে সহায়তা করেন। বিশাল এ নগরে এসে নতুনরা হাবুডুবু খায়। বিচিত্র এ নগরের ভিন্নতায় স্বদেশীরা তখন ঠাঁই খুঁজে পায় কামাল আহমেদের সংস্পর্শে।’

[৭] প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি কামাল আহমেদ তার সংগঠনের সদস্যদের অন্তিম সংস্কারে সাহায্য করেছেন। ইতিমধ্যে কভিড-১৯ এ মৃত্যু হয়েছে এ সংগঠনের অনেক সদস্যের। নগরীর উপচে পড়া ফিউনারেল পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃতদের দাফনে অনেক মানুষের সামর্থ্যও ছিল সীমিত। মৃত সদস্যদের লং আইল্যান্ড এবং নিউজার্সিতে সংগঠনের নিজস্ব কবরস্থানে সমাহিত করার ব্যবস্থা করেন কামাল আহমেদ।

[৮] কামাল আহমেদের জন্ম ১৯৫১ সালের ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলীয় জেলা সিলেটে। সেখানকার মফস্বল শহর বিয়ানীবাজারে তার বেড়ে ওঠা। বাবার সঙ্গে আমেরিকায় অভিবাসন নেওয়ার আগে দেশে কৃষি বিষয়ে শিক্ষা নিয়েছিলেন। হিলটন হোটেলে বাস-বয় হিসেবে কাজ শুরু করেন। পরে একই হোটেল চেইনে ব্যাঙ্কুয়েট কর্মী হিসেবেও কাজ করেন। ১৯৮২ সালে তিনি আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। প্রখ্যাত অ্যাটর্নি এইচ ব্রুস ফিসারের অফিস ম্যানেজার হিসেবেও তিনি কাজ করেছন কুইন্সে।

[৯] স্বদেশী মানুষদের জন্য কামাল আহমেদের কেমন দরদ ছিল, সেটি তার কবরের জায়গা নির্বাচন দেখে বোঝা যায়। সোসাইটি থেকে সদস্যদের জন্য কবরের জায়গা বিনা মূল্যে দেয়ার কথা থাকলেও মৃত্যুর আগে এভাবে জায়গা ব্যবহার করতে না করে যান তিনি।

[১০] সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক রুহুল সিদ্দিকী জানান কামাল আহমেদ সবসময় বলতেন, ‘এটি অসহায়দের প্রাপ্য।’দেশ রূপান্তর, যুগান্তর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়