বিপ্লব বিশ্বাস : [২] ‘পাপা তুমি বাইরে যেওনা। বাইরে করোনাভাইরাস। তুমি বাইরে গেলে করোনাভাইরাস হলে আমি কিছু জানি না। এভাবেই বলত আমার তিন বছর চার মাসের ছেলে রাফসান।
[৩] এখন ওকে কী জানাব। শুধু বলব স্যরি পাপা, তোমার কথা মতো চলতে না পারার জন্য। আল্লাহ মাফ করলে তোমার সব কথা শুনব।’
[৪] করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ট্রাফিক সার্জেন্ট মো. ইমরুল ইসলাম। তার এমন ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেকেই তাকে সাহস ও সমবেদনা জানাচ্ছেন। বর্তমানে ওই হাসপাতালে আইসিইউর বেড নম্বর-৭ রয়েছেন ইমরুল।
[৫] আইসিইউতে স্থানান্তর হওয়ার আগে ওই স্ট্যটাস দেন তিনি।
হাসপাতালে শুয়েই আরও একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন- ‘ক্ষমা চাই মহান আল্লাহর কাছে। ক্ষমা চাই জন্মলগ্ন থেকে পরিচিত সবার কাছে। আমার অনুপস্থিতিতে আমার দুই সন্তান কারও কাছে আমার পরিচয়ে দিয়ে গেলে তাড়িয়ে দেবেন না, দয়া করে। আল্লাহ মহান। আমার শরীরটা ভালো যাচ্ছে না। আইসিইউ বেড নম্বর-৭, রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতাল।’
[৬] তার স্ট্যাটাস দেখে নুরুজ্জামান ফারুন নামে একজন লিখেন- ‘আমার ব্যাচমেট ইমরুল। এক সঙ্গে ট্রেনিং করেছি। ও খুব রশিক একটা মানুষ। ওকে দেখলে কেন যেন আমাদের খুব হাসি পেত। রাতের ক্লাসগুলো ওর গল্পে সময়টা কিভাবে পার হতো বুঝতে পারতাম না। ও খুব বাস্তববাদী ও সংগ্রামী একটা মানুষ। সব সময় খাঁটি বরিশালের ভাষায় কথা বলত। রাস্তায় মানুষকে ঘরে রাখতে লড়াই করতে গিয়ে নিজেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন। সবার ভালোবাসা ও সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন।