রেজাউল করিম : [২] ১৭ মে রবিবার সিরাজগঞ্জ জেলাধীন সদর উপজেলার শিয়ালকোল ইউনিয়নস্থ শ্যামনগর গ্রামে অসাধু দুধের ব্যবসায়ী মোঃ নুরুল ইসলাম (৪৫), পিতাঃ মোঃ নজাব আলীকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ফয়সাল আহমেদ।
[৩] এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জনাব ফয়সাল আহমেদ জানান যে, ১৭ মে রোববার সিরাজগঞ্জ সদরের বিভিন্ন স্থানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণ এবং বাজার মূল্য স্থিতিশীল রাখার জন্য মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়েছে। তিনি জানান যে, প্রাপ্ত গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শ্যামনগরে দুধের ব্যবসায়ীর বাড়িতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। জব্দকৃত দুধের মান নির্ধারিত যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করা হলে দুধের ভেজাল পরিলক্ষিত হয়। অসাধু দুধের ব্যবসায়ী মোঃ নুরুল ইসলাম সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি প্রায় ৩০ (ত্রিশ) বছর ধরে এ ব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি তার চারটি গাভী থেকে প্রায় ৩৫ লিটারের মতো দুধ পান। বাজারে দুধের চাহিদা থাকায় তিনি দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ফ্যাটবিহীন দুধ (মেশিনের মধ্যমে ফ্যাট তুলে নেয়ার পর যে পানি অবশিষ্ট থাকে) মিশিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছিলেন। গ্রামের অন্য দুধ ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন যে, তার গরু পর্যাপ্ত না থাকা সত্বেও তিনি প্রতিদিন ৩/৪ মন দুধ বাজারে বিক্রি করেন কি করে?? উক্ত অসাধু ব্যবসায়ী সিরাজগঞ্জ সদর, শিয়ালকোল বাজার এবং সরাসরি বাসা বাড়িতে দুধ বিক্রি করে আসছেন। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি স্বীকার করেন, দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য তিনি দুধ পানি মেশান এবং ক্রয়কৃত ফ্যাটবিহীন দুধ মিশ্রিত করে তা তাপ দিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়। এতে দুধের ঘনত্বে তারতম্য দেখা যায়। যা নির্ধারিত যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষায় ধরা পরে। খালি চোখে যা ধরা অনেকটা কষ্টসাধ্য ব্যাপার৷
[৪] উক্ত মোবাইল কোর্টে সহায়তা করেন ডাঃ এস এম মাহমুদুল হক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা, সিরাজগঞ্জ সদর, জেলা সেনেটারী ইন্সপেক্টর জনাব ডিপু চৌধুরী, সিরাজগঞ্জ এবং সিরাজগঞ্জ ব্যাটেলিয়ান আনসারের একটি চৌকষ দল।
[৫] এ বিষয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন জানান যে, ভেজাল দুধ পান করে মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ছে এবং পুষ্টিগুণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। ভেজালের বিরুদ্ধে জনস্বার্থে মোবাইল কোর্ট চলমান থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :