দেবদুলাল মুন্না : [২] অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা ব্রিটেনের ৩ হাজার ৬০০ করোনা রোগীর ইতিহাস বিশ্লেষণ করে এমনটিই নিশ্চিত হয়েছেন।গবেষণার বিষয়টি বিজ্ঞান সাময়িকী ল্যানসেটে প্রকাশিত হয়েছে। খবর এএফপি ও এনডিটিভির।
[৩] গবেষণাপত্রের লেখক ও ইংল্যান্ড পাবলিক হেলথ বিভাগের গবেষক গায়ত্রী আমির থালিংগাম বলেন, করোনাভাইরাস যতই দিন পার করছে, ততই তার সম্পর্কে আমরা নতুন নতুন তথ্য জানতে পারছি। গরীবদের এলাকায় করোনা সংক্রমণের একটি বড়ো কারণ অপরিচ্ছন্নতা ও ঘনবসতি। এছাড়া তারা তেমন স্বাস্থ্য সচেতনও নন।
[৪] গবেষকরা বলছেন, ব্রিটেনের কিছুটা দরিদ্র এলাকার বাসিন্দারা আশপাশের ধনী এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের চেয়ে চারগুণ বেশি করোনাভাইরাসের সংক্রমণের শিকার হয়েছে। ৩৬০০ জন করোনা রোগীর নমুনা ও ইতিহাস বিশ্লেষণ করে গবেষকরা দেখেছেন, এদের মধ্যে ৬৬০ জন অতি দরিদ্র-বঞ্চিত এলাকার বাসিন্দা। এসব বাসিন্দার ২৯.৫ শতাংশ করোনা পজিটিভ।
[৫] ধনী এলাকার মাত্র ৭.৭ শতাংশ করোনা পজিটিভ হয়েছেন। তবে দরিদ্ররাই কেন বেশি আক্রান্ত হয়েছেন, তা গবেষকরা পরিষ্কার করেননি।পর্যবেক্ষণে গবেষকরা দেখেছেন, দরিদ্র অঞ্চলের ৪০ থেকে ৬৪ বছর বয়সীরা বেশি করোনার ঝুঁকিতে রয়েছেন। এ বয়সী সাড়ে ১৮ শতাংশ করোনা আক্রান্ত, অন্যদিকে ১৭ বছরের নিচের বয়সীরা করোনা আক্রান্ত হয়েছে মাত্র সাড়ে ৪ শতাংশ।