সুজন কৈরী : [২] করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে র্যাব-পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে নিরলস কাজ করছেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। জনসাধারণকে থেকে করোনা থেকে নিরাপদ রাখার দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত বাহিনীর কর্মকর্তাসহ ১৮২ জন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। মারা গেছেন একজন সদস্য।
[৩] বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, যেকোনো দুর্যোগ মোকাবেলায় তারা পাশে আছেন। এরই প্রেক্ষিতে করোনা মোকাবেলায় দেশজুড়ে নিয়োজিত রয়েছেন বাহিনীর ২১ হাজারেরও বেশি সদস্য। যারা শুরু থেকেই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কাধে কাধ মিলিয়ে সম্মুখ যোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন। বিমানবন্দরে প্রবাসীদের আগমন, কোয়ারেন্টাইনে থাকা সদস্যদের বাড়িতে লাল পতাকা চিহ্নিতকরণ, গ্রামে গ্রামে মাইকিং, লিফলেট বিতরণসহ সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণে নিরলসভাবে কাজ করছেন বাহিনীর সদস্যরা। করোনার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতালগুলোতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেবা দিচ্ছেন তারা।
[৪] রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির সাথেও সেবা দিচ্ছেন বাহিনীর ২ হাজার ৪০০ জন সদস্য। নিরাপত্তা রক্ষার পাশাপাশি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালেও দায়িত্ব পালন করছেন। দেখছেন শৃঙ্খলার বিষয়টি।
[৫] করোনা প্রতিরোধ বিভিন্ন দায়িত্ব পালনকালে যার মরণঘাতি এ ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে একজন বাহিনীর উপ-মহাপরিচালক, ৭৯ জন ব্যাটালিয়ন আনসার, ৯৮জন অঙ্গীভূত আনসার, ১ জন নারী আনসার ও ১ জন নার্সিং সহকারী, একজন সিগন্যাল অপারেটর ও একজন ভিডিপি সদস্য।
[৬] শুক্রবার বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনাক্ত সদস্যদের মধ্যে ৬৬ জন ব্যাটালিয়ন আনসার জাতীয় সংসদ ভবনে এবং ৬৭ জন অঙ্গীভূত সদস্য ডিএমপিতে কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া বাকীদের কেউ সদর দপ্তর এবং কেউ বিভিন্ন জেলায় কর্মরত।
[৭] শনাক্তদের মধ্যে নিজ বাসায় কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন একজন। প্রাতিষ্ঠানিক ও বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন ৪৩৫জন। ঢামেক হাসপাতাল, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত বাংলাদেশ মৈত্রী সরকারি হাসপাতাল, মুগদা জেনারেল হাসপাতাল, সাজেদা মেডিকেল, ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ১৫৬জন করোনা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
[৮] বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, করোনায় বাহিনীর একজন সদস্য মারা গেছেন। শুক্রবার পর্যন্ত করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন সর্বমোট ১৯জন।
আপনার মতামত লিখুন :