রাজু চৌধুরী : [২] ডেঙ্গু জ্বরের প্রাদুর্ভাব থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক সচেতনতাও জরুরি প্রয়োজন বললেন মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন । বৃহস্পতিবার ১৪ মে নগরের চান্দগাঁও বি ব্লক মসজিদের সামনে ওষুধ ছিটিয়ে মশক নিধন কার্যক্রম উদ্বোধনকালে মেয়র এ কথা বলেন ।
[৩] এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, মো. সাইফুদ্দিন খালেদ, মেয়রের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শেখ শফিকুল মান্নান সিদ্দিকী যিশু, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী প্রমুখ।
[৪] মেয়র বলেন, আমাদের চারপাশে যেসব জায়গায় এডিস মশা জন্মায়, সেসব জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে, সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। আবহাওয়াগত কারণে নগরে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। এ ক্রাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে প্রতি ওয়ার্ডের ঝোপঝাড় পরিষ্কার ও নালায় যেখানে মশার জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে। ক্রাশ প্রোগ্রাম ছাড়াও চসিকের নিয়মিত কার্যক্রমের মধ্যে প্রতিদিন মশক নিধন স্প্রে চলমান রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের যে পরিমাণ মশা ধ্বংসকারী ওষুধ আছে এই ওষুধের সদব্যবহারের মাধ্যমে প্রাপ্তবয়স্ক মশা নিধনের জন্য এডাল্টিসাইড এবং মশার লার্ভা (ডিম) ধ্বংসের জন্য লার্ভিসাইড ওষুধ ছিটানো হবে।
[৫] ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে মেয়র বলেন, পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসাবাড়ির আশপাশে ডাবের খোসায়, ফুলের টবে, ছাদে, ফ্রিজের নিচের ট্রেতে তিন দিনের বেশি পানি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
[৬] বাসা-বাড়ি,ছাদ-আঙিনায় নিজ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের নাগরিক দায়িত্ব।চট্টগ্রামকে একটি স্বাস্থ্যকর, নিরাপদ, বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন শহর গড়তে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন মেয়র।