শেরপুর-১ তপু সরকার হারুন : [২] সামাজিক দূরত্ব নামানা ও সরকারী শর্ত ভঙ্গ করার অভিযোগে শেরপুর জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট গঠিত মোবাইল কোর্ট আজ ১৪ মে শেরপুর জেলা শহরের নয়ানী বাজারশহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এসময় সরকারী শর্তভাঙ্গার অভিযোগে শেরপুর চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক ও বস্ত্র ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক চন্দন সাহার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জননী বস্ত্রালয়কে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন বলে জানাযায় ।
[৩] শেরপুরের অভিজ্ঞ মহল বলেন তিনি চেম্বারের পরিচালক, ব্যবসায়ী নেতা। আবার ক্ষমতাসীন আ’লীগেরও জেলা কমিটির নেতা। ধর্মীয় সংগঠনেরও রয়েছেন শীর্ষ পদে।তার জন্যই শেরপুরে দোকানপাট খোলা রাখা না রাখার ক্ষেত্রে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে । তিনি নিয়ম-কানুন না মেনে। নিজের গাঁয়ের জোরেই সবকিছুকে তুচ্ছ জ্ঞান করবেন।..ক্ষমতার দম্ভ মানুষকে কোথায় নিয়ে যায়। একদিন খোলার রাখার পর লকডাউনের নিয়মবিধি প্রতিপালন হচ্ছেনা অন্যদিকে বিবেচনায় শেরপুর চেম্বার থেকেই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় দোকানপাট বন্ধ রাখার। কিন্তু ওই নেতা প্রকাশ্যেই করলেন দম্ভোক্তি, কেন? ১৪মে ,বৃহস্পতিবার ওই নেতার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে জরিমানা হয়েছে।
[৪] তিনি গতকাল বুধবার দুপুরেও তার প্রতিষ্ঠান খোলা রাখা হলে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত গেলে তখন লেজগুটিয়ে দোকান তালাবদ্ধ করে পার পেয়েছিলেন।আজ আর পেলেন না। না এভাবে হয়না। সম্মিলিত সিদ্ধান্তের বাইরে যাওয়া ঠিক নয়। ক্ষমতা থাকলে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। নিজেকে সামলাতে হয়। না হলে...এরশাদ গেছে, মঈন-ফখরুদ্দিন গেছে, ...আরও কতো শতো মানুষ....। সুতরাং সাধু সাবধান। নিয়ম মানুন, ঘরে থাকুন। নিরাপদে থাকুন। দৈর্য্য ধারণ করুণ, সুদিন আসবেই....।
এ-সময় আরো ৫বস্ত্রালয়কে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময়ে কাকন সু বাজারকে শতর্ক করা হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল।