ডেস্ক রিপোর্ট : {২] এভিয়েশন শিল্পের অন্যরকম এক ইতিহাস। বাণিজ্যিক ওই ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ছিলেন ওয়েন্ডি রেক্সন, আর তার মেয়ে কেলি রেক্সন ফার্স্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। জন এফ. কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ওই উড়োজাহাজ চালিয়েছেন তারা। ইতিহাসে প্রথম একসঙ্গে বাণিজ্যিক বিমান চালানো মা-মেয়ে তারাই।
[৩] রেক্সন পরিবারের অনেকে বিমানচালনায় যুক্ত আছে। ওয়েন্ডি রেক্সন ও তার ২ মেয়ে পাইলট। ওয়েন্ডির স্বামী আমেরিকান এয়ারলাইনসের পাইলট হিসেবে কাজ করেন।
[৪] অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে শৈশবের স্মৃতি হাতড়ে কেলি বলেন, আমরা ক্যাপ্টেন মা-বাবার টুপি পরে দৌড়াতাম। ছোটদের মতো মজা করতাম এবং তাদের সঙ্গে বেড়াতে যেতাম। পারিবারিক সূত্রে বিমানচালনায় যুক্ত হয়েছি আমরা ২ বোন। ১৬ বছর বয়স থেকে বিমান চালাই আমি। ছোটবোনের প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করে আনন্দ পেতাম। সে ছিল আমার প্রথম শিক্ষার্থী।
[৫] মা মেয়ের ওই যাত্রা ছিল ঘটনাবহুল। কারণ তারা ককপিটে ধোয়ার সম্মুখীন হয়েছিলেন। অপ্রত্যাশিত জটিলতা সত্ত্বেও তারা নিরাপদে লস অ্যাঞ্জেলেসে অবতরণ করতে সক্ষম হয়। সেদিন প্রথমবার পাশ থেকে মেয়েকে জরুরি অবতরণের দায়িত্ব সামলাতে দেখেছেন ওয়েন্ডি। পুরনো স্মৃতি মনে করে তিনি বলেন, সে চমৎকারভাবে সব সামলেছে। এটি একটি কঠিন পরিস্থিতি ছিল। প্রশিক্ষিত হওয়ার সুবাদে এবং যোগ্যতা থাকায় কাজটা তার জন্য সহজ হয়েছিল।
[৬] অস্ট্রেলিয়া ভিত্তিক সেন্টার ফর এভিয়েশনের (সিএপিএ) তথ্যানুযায়ী, গত বছর পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মোট বাণিজ্যিক বৈমানিকের মধ্যে মাত্র ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ছিল নারী, অর্থাৎ ৬ হাজার ৯৯৪ জন নারীর পেশা বিমানচালনা।
[৭] রেক্সন পরিবারআশার কথা হলো, বৃহত্তর বিমান সংস্থাগুলো ককপিটে নারীদের আনার প্রতি গুরুত্বারোপ করছে। ফলে গত একদশকে বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালানো নারী বৈমানিকের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ১৯ শতাংশ।
[৮] আমেরিকান সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানায়, আমেরিকান এয়ারলাইনসের ৪ দশমিক ৮ শতাংশ পাইলট নারী। ডেল্টা এয়ার লাইনসে তা ৫ শতাংশ। আর ইউনাইটেড এয়ারলাইনসের বিমানচালনায় নিয়োজিতদের ৭ শতাংশ নারী।
[৯] ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দাবি, ভারতের ৮টি বৃহত্তর বিমান সংস্থার অন্তত ১০ শতাংশ পাইলট নারী। বাংলাট্রিবিউন
আপনার মতামত লিখুন :