শিমুল মাহমুদ : [২] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আমি গণস্বাস্থ্যের পক্ষ থেকে দেশেবাসীর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমি ক্ষমা চাইছি আমাদের অপারগতার জন্য।
[৩] তিনি বলেন, আমাদের র্দুভাগ্য, আমাদের ব্যর্থতা, আমাদের অপারগতা, বিএসএমএমইউ কাছে কিট পৌছাতে পারিনাই। আমাদের কিট আছে কিন্তু তাদের নিয়ে যাওয়ার জন্য যে পত্র সেটা আমাদের কাছে এখনো হস্তান্তর করা হয়নি।
[৪] ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, আমরা বুঝাতে সক্ষম হয়নি এটা জাতীয় গুরুত্ব। দ্রুত করাটা দরকার। এ সময়ে আমরা জাতীর জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য করতে পারতাম। হয়তো সবকিছুর পরিবর্তন করতে পারতাম না। কিন্তু মানসিকভাবে মানুষকে একটা স্বস্তি দিতে পারতাম।
[৫] জাতির এই ক্লান্তিলগ্নে আমরা সরকারের কাছে একটা আবেদন করতে চাইছি। যতোদিন পর্যন্ত না হয়। তুলনামূলক রিপোর্ট না আসে ততোদিন আমাদেরকে সাময়িক সনদ পত্র দেন। যাতে আমরা লোকের করোনা হয়েছি কি হয়নি এ পরীক্ষা টুকু করে দিতে পারি।
[৬] সোমবার (১১ মে) গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল গেরিলা কমান্ডার মেজর এ টি এম হায়দার মিলনায়তনে আয়োজিত এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এসব কথা বলেন।
[৭] গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের এ প্রতিষ্ঠাতা আরো বলেন, কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) যে কমিটি করেছিলো তাদের পূর্নক্ষমতা দেওয়া হয়নি। প্রতিটি ধাপে ধাপে তাদের অনুমতি নিতে হচ্ছে। ভাইস চ্যালেন্সরের দপ্তরে অনুমোদনের অপেক্ষায় থেমে আছে যাবতীয় কার্যক্রম ।
[৮] তিনি বলেন, আমাদের কাছে কিট আছে আমরা দাবি করছি এটা কার্যকর। কিন্তু আমরা এখনো পর্যন্ত সরকারের অনুমোদনের ধারপ্রান্ত পর্যন্ত পৌছাতে পারিনি। প্রতিদিন সাংবাদিকরা আমাদের ফোন করেন আমরা ওনাদের বলি কালকে, কালকে।
[৯] তিনি জানান, গণস্বাস্থ্য প্রতিদিন ২শ থেকে ৩ শ লোকের কিডনি রোগী ডায়ালাইসিস করে থাকে। অনেক রোগী আসেন করোনা পজেটিভ, তাদের ডায়ালাইসিস করা সম্ভব হয়না। তাই জনসাধারণে কাছে আবেদন করছি , হাসপাতালের আশে পাশে কেউ ৫ হাজার স্কয়ারফিট জায়গা দিলে আমরা সেখানে দ্রুত মেশিন বসিয়ে করোনা আক্রান্ত একশ জনের ডায়ালাইসিস প্রতিদিন করে দিতে পারি।
[১০] অভিযোগের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, নো কমেন্টস। আমি এই প্রজেক্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করবো না।
আপনার মতামত লিখুন :