কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি:[২] জেলায় রোববার (১০ মে) পর্যন্ত মোট ১৯১ জন করোনা রোগি শনাক্ত হয়েছে।
[৩] এছাড়া জেলার দু’টি উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। দু’জনই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। জেলা পুলিশের ভৈরব থানার ১১ জন সদস্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে ১০ জনই ইতোমধ্যে সুস্থ হয়েছেন।
[৪] সবমিলিয়ে কিশোরগঞ্জ জেলায় করোনা আক্রান্ত ১৯১ জনের মধ্যে ১৫৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এছাড়া পাঁচজন মারা গেছেন।
[৫] বর্তমানে জেলায় মোট ৩০ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হিসেবে বিভিন্ন হাসপাতাল ও নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছেন।
[৬] রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিতে এক মতবিনিময় সভায় সিভিল সার্জন ডা. মো. মুজিবুর রহমান এসব তথ্য জানান। তিনি জানান, সুস্থ হওয়া চিকিৎসক, নার্সিং স্টাফ ও স্বাস্থ্য কর্মীরা বর্তমানে স্ব স্ব চাকুরিস্থলে দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে তাদের আক্রান্ত হওয়ার পর জেলার হাসপাতালগুলোতে সেবা প্রদান নিয়ে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল, তা এখন আর নেই।
[৭] কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ জাকিয়া নূর লিপি বলেন, কিশোরগঞ্জের করোনা পরিস্থিতি উন্নতির এই ধারা বজায় রাখতে হবে। এজন্যে আমাদের সম্মিলিতভাবে নিরন্তর কাজ করে যেতে হবে। কেননা আমরা কেউই দ্বিতীয়বার সংক্রমণ দেখতে চাই না। করোনা মহামারির এই সময়ে কিশোরগঞ্জ পৌর এলাকায় যেন ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব না ঘটে সেদিকে নজর দেয়ার জন্য পৌরমেয়রকে তিনি নির্দেশনা দেন।
[৮] সভায় জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী বলেন, কিশোরগঞ্জের হাওর এলাকায় এবার এক লাখ তিন হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছিল। ইতোমধ্যে এর ৯৯ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। তিনি আরো বলেন কিশোরগঞ্জ জেলার বাসিন্দা গার্মেন্টকর্মীদের তালিকা করা হচ্ছে। তারা ঈদে বাড়িতে আসতে পারবে না। এটি নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া গণবিজ্ঞপ্তির নির্দেশনা অনুসারে জেলায় দোকান-পাট খোলা রাখতে হবে। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :