খান আসাদ : এই এপ্রিলে, মাত্র ২৭টি জেলায় ১৭২০৩ জন নারীর সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৪২৪৯ নারী জানিয়েছেন, তারা শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। ৮৫ জন নারী যৌন সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ১৬৭২ জন নারী জীবনে প্রথমবারের মতো সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ২৭টি জেলার ১৭০০০ নারীর স্যাম্পল যদি হিসাব করি, সারাদেশের ৮ কোটি নারীর প্রায় ২৫ শতাংশ, মানে ২ কোটি মানুষ সহিংসতার শিকার হয়েছেন। ৩৩টি বাল্যবিবাহ হয়েছে। বাল্যবিবাহ কি কেবল ধর্মের কারণে?
নাকি ধর্ম ব্যবহৃত হয় দরিদ্র শিশুর প্রতি পিতৃতন্ত্রের সহিংসতার বৈধতার যুক্তি হিসেবে। ভালো সংবাদ আছে, ১৪১টি শিশুকে বাল্যবিবাহ থেকে বাঁচানো গেছে। এই বাঁচানোর কাজটি করেছে, স্থানীয় এনজিওরা। আমি উল্টো করে ভাবি, এদেশে ৭৫ শতাংশ নারীরা ভালো আছেন। আমি ভাবি, করোনারকালে পুরুষেরা রান্নাঘরে স্ত্রীদের কাজে সাহায্য করছে। আমি ভাবি, এই সময়ে অনেক পুরুষ নতুন করে আবিষ্কার করছে, পরিবারে মায়েরা, স্ত্রীরা, বোনেরা, কন্যাসন্তানেরা কী করে, কী ভাবে, সেটা জানার সুযোগ পাচ্ছে। পরিবারের মেয়েদের সঙ্গে গল্প করার সুযোগ পেয়েছে।
আমি অনেক অনেক ইতিবাচক কী কী হতে পারে ভাবতে চাই। আমরা একটা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম, মানুষ সমৃদ্ধি ও মর্যাদা নিয়ে বাঁচবে বলে আশা করেছিলাম। আমদের কন্যা শিশুরা উচ্চ শিক্ষা পাবে, ডাক্তার হবে, প্রকৌশলী হবে, শিল্পী-সাহিত্যিক হবে। এই করোনারকালে বাল্যবিবাহ কন্যাশিশুর প্রতি বৈধ সামাজিক সহিংসতা, পরিবারের সম্মতিতে। ফেসবুক থেকে