মঞ্জুরুল হক : বিজিএমইকে দেওয়া ৫ হাজার কোটির গল্প শেষ। ওসব পেট হয়ে কমোডে। ৭২ হাজার ৫শ কোটি প্রণোদনার গল্প রানিং। এফবিসিসিআই এবং এ রকম সব পোশাক অ্যাসোসিয়েশনগুলো ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে টাকা চেয়ে। সবারই প্রণোদনা দরকার। টাকা দরকার। শুধু টাকার দরকার নেই কার? কৃষকের। ক্ষেতমজুরের। দিনমজুরের। ভূমিহীনের। যাদের মোট সংখ্যা প্রায় ১২ কোটি। এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে (যে ... বাচ্চাদের চেয়ারের পেছনে তোয়ালে তাদের কারণে নয়, চাষা ঘাম ঝরিয়ে ফলিয়েছে)। ‘সরকার সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনবে’ এমন স্বস্তিদায়ক ঘোষণার পর কী হয়েছে জানেন? ধান ঘরে উঠে যাওয়ার পরও তালিকা করতে পারেনি তোয়ালেওয়ালারা। কেন? করোনার কারণে অফিস করে না। ধানের দাম ধরা হয়েছে ২৬ টাকা কেজি। গত দুবছর আগেও প্রতি কেজির কস্টিং ছিলো ২৮ টাকা। তাহলে কেজিতে কৃষকের কতো লোকসান? তারপরও চোঙা হাতে কিছু চাটুকারের বাচ্চারা রিপোর্ট করছে, কৃষক খুশি। ‘ধান কেনার লিস্ট কবে করবেন’? তোয়ালেওয়ালারা বলেছেন, শিগগিরই। করোনা পরিস্থিতি একটু ভালো হোক তারপর। শেষে কী হবে না বললেও বুঝতে পারছেন, তাই না? মধ্যস্বত্বভোগী ব্যাপারীরা সস্তায় ধান কিনে নেবে। সেই ধান মিলারদের মাধ্যমে আরও প্রফিট যোগ হয়ে সরকারের সাইলোতে যাবে। কৃষকের কপালে সেই মুড়ো ঝাঁটা। আমাদের কী রাজকপাল। এর পরও এ দেশের কৃষকরা ফসল ফলিয়ে আমাদের খাবারের যোগান দেয়। আর আমাদের কথিত কৃষক-শ্রমিক দরদী ...রা চ্যানেলে লেকচার মেরে ২ হাজার টাকার চেক নিয়ে ঘরে ফেরে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :