বাবুল আক্তার, চৌগাছা প্রতিনিধি: [২] হায়দার আলী (৯৭)। বয়সের ভারে আজ নুজ্য। অনেক কষ্ট করে চলাফেরা করেন তিনি। অনেক আগেই স্ত্রী মারা গেছেন । চালিকা শক্তি হাতের একমাত্র লাঠি। খেতমজুর ছেলের ৮ সদেস্যের অভাব অনাটনের সংসারে বোঝা হয়ে আছেন তিনি। লোক লজ্জার ভয়ে কারো কাছ কোনো দিন হাত পাতেননি । স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও এগিয়ে আসেনি সাহায্যের জন্য।
[৩] হায়দার আলী উপজেলার পাশাপোল ইউনিয়নের রানীয়ালী গ্রামের বাসিন্দা। জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী তাঁর জন্মতারিখ ১৯২৭ সালের ১০ এপ্রিল । সরকারি নিয়ম অনুযায়ী হায়দার আলী বয়স্ক ভাতা পাওয়ার যোগ্য হলেও এ পর্যন্ত পাননি সরকারি কোনো সহযোগীতা।
[৪] হায়দার আলী জানান, চার ছেলে ও চার মেয়ের বাবা তিনি। চার মেয়েকে পাত্রস্থ করেছেন। ছেলেদের মধ্যে দুই জন বিয়ে করে শশুর বাড়িতেই থাকে। দুই ছেলের মধ্যে একজন কর্মঅক্ষম। দুই ছেলের স্ত্রী সন্তান দিয়ে সংসারে মোট সদস্য ৮ জন।
[৫] এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য গোবিন্দ জানান, ‘বিষয়টি আমার জানা আছে। ওয়ার্ডে অল্প সংখ্যক কার্ড পেয়েছি। যাদের চাওয়া পাওয়া বেশি তাদেরকে আগে দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে লেখা লেখির দরকার নেই হায়দার আলী খুব সিগরিই বয়স্কভাতার কার্ড পাবেন।
[৬] স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান অবাইদুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘এত বয়সী বৃদ্ধের বয়স্ক ভাতার কার্ড হয়নি, এটা আমার জানা ছিল না। স্থানীয় ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রুত সম্ভব কার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা করব’।
[৭] উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম বলেন, বয়স্ক ভাতা পাওয়ার মতো উপযুক্ত বয়স হলেও কেন কার্ড পাননি খোজ নিয়ে দেখছি। তাঁকে অবশ্যই কার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান। সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার