শিরোনাম
◈ নেতানিয়াহু ও সিনওয়ারার বিরুদ্ধে আইসিসি’র গ্রেপ্তারি আবেদনে ফ্রান্সের সমর্থন  ◈ তাবরিজে প্রেসিডেন্ট রাইসির জানাজায় লাখো ইরানি  ◈ বাংলাদেশি পণ্যের জন্য ডিউটি ফ্রি, কোটা ফ্রি সুবিধা অব্যাহত রাখবে অস্ট্রেলিয়া  ◈ বিএনপিসহ টিআইবির অপপ্রচারে ভোটার উপস্থিতি কমেছে: ওবায়দুল কাদের  ◈ ডুবে যাওয়ার শঙ্কায় ব্যাংকক ◈ ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: জামাল হায়দার ◈ কৃষি খাতে ফলন বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ার প্রযুক্তি সহায়তা চান প্রধানমন্ত্রী ◈ সাবেক সেনাপ্রধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আমার কোনো মন্তব্য নেই: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ বিএনপি নিরুৎসাহিত করায় ভোট কম পড়েছে: মন্তব্য সিইসির  ◈ ইরানের রাষ্ট্রপতির মৃত্যুতে বাংলাদেশ বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রীয় শোক

প্রকাশিত : ০৪ মে, ২০২০, ০৪:৩৩ সকাল
আপডেট : ০৪ মে, ২০২০, ০৪:৩৩ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ড্রেনে দুধ ফেলে দিচ্ছেন ফার্ম মালিকরা!

রাজু আলাউদ্দিন : [২] মরণঘাতি করোনা পরিস্থিতির কারণে মৌলভীবাজার জেলার ডেইরি ফার্মের মালিকরা উৎপাদিত দুধ নিয়ে পড়েছেন চরম বেকায়দায়। প্রতিদিন কম করে হলেও কয়েক লাখ টাকার দুধ উৎপাদিত হয়ে থাকলেও বিক্রির অভাবে তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে অনেক ফার্ম মালিক ড্রেনে দুধ ফেলে দিচ্ছেন। এ দুগ্ধ শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে সরকারের সার্বিক সহযোগিতার দাবি করছেন ডেইরি ফার্ম মালিকরা।

[৩] দুগ্ধ শিল্পে আর্থিক সফলতা আসায় বিগত এক যুগের মধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় এ শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটে। শিক্ষিত বেকার যুবকদের একান্ত প্রচেষ্টায় মূলত জেলার প্রত্যন্ত এলাকায় প্রায় সাতশো ডেইরি ফার্ম গড়ে উঠেছে। মৌলভীবাজার জেলা ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি জহির ফারুক জানিয়েছেন, শুধুমাত্র এ জেলার ডেইরি ফার্ম থেকেই প্রতিদিন কম করে হলেও চৌদ্দ হাজার লিটার দুধ উৎপাদিত হয়ে আসছে।

[৪] এদিকে মৌলভীবাজার জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাছুদার রহমান সরকার জানিয়েছেন, জেলার সব কটি ডেইরি ফার্ম ছাড়াও প্রত্যেক বাসা-বাড়িতে গাভী পালনে উৎপাদিত দুধের এ হিসাব মিলিয়ে প্রতিদিন ২ লাখ ৪৩ হাজার লিটার দুধ পাওয়া যাচ্ছে। জানা গেছে, জেলার উৎপাদিত পঁচাত্তর শতাংশ দুধ (প্রতিদিন) সিলেটসহ অন্যান্য জেলার বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। আর বাকি পঁচিশ শতাংশ দুধ এখানের চাহিদা মেটাচ্ছে।

[৫] রাজু ডেইরি ফার্মের পরিচালক রাজু আহমদ জানিয়েছেন, তার ফার্ম থেকে প্রতিদিন সাড়ে চারশো লিটার দুধ উৎপাদিত হয়ে থাকে। তিনি জানান, করোনা পরিস্থিতির ফলে দেশের দুধ সংগ্রহকারী একাধিক প্রতিষ্ঠান ছাড়াও বেকারিগুলো ইতোমধ্যে একরকম বন্ধ হয়ে গেছে। এতে এ জেলায় প্রতিদিন উৎপাদিত কয়েক লাখ টাকার দুধ বিক্রির অভাবে নষ্ট হচ্ছে। রাজু আহমদ জানান, দুধ বিক্রি না হওয়াতে আশপাশের লোকজনকে বিলিয়ে দেয়ার পরও তা ড্রেনে ফেলে দিতে হচ্ছে। তার ফার্মে সত্তরটি গাভী রয়েছে। এদের দেখাশোনার দায়িত্বে পাঁচজন শ্রমিক। করোনা পরিস্থিতিতে খরচাপাতি বেড়ে যাওয়াতে তার ফার্ম চালানো এখন কষ্টকর হয়ে পড়ছে।

[৬] একই অবস্থার কথা জানালেন আরেকটি ডেইরি ফার্মের মালিক সৈয়দ রাসেল আহমদ। তার ফার্মে একশো গাভী রয়েছে। প্রতিদিন পাঁচশো লিটার দুধ উৎপাদিত হয় তার ফার্ম থেকে। করোনা পরিস্থিতিতে শ্রমিক খরচ এবং গাভী পালন কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে। সরকারের নজর দেয়ার দাবি করছেন তিনি।

[৭] এদিকে ডেইরি ফার্ম এসোসিয়েশনের সভাপতি জহির ফারুক জানান, করোনা পরিস্থিতিতে প্রত্যেক দিন কয়েক লাখ টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এ জেলার ফার্ম মালিকরা। এসব ক্ষতি পোষাতে সরকারের কাছে তিনি অনুদান দাবি করছেন। একই সাথে সরকার ফার্মের কাছ থেকে সরাসরি দুধ কেনার দাবি করেন। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাছুদার রহমান সরকার করোনা পরিস্থিতিতে এ দুগ্ধ শিল্পের আর্থিক ক্ষতির কথা স্বীকার করে প্রয়োজনীয় সহায়তার কথা জানিয়েছেন। সময় টিভি

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়