রাজু চৌধুরী, চট্টগ্রাম: [২] করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে "সামাজিক দূরত্ব" বাক্যটি এখন মনে হয় খাতা-কলমে সীমাবদ্ধ হয়ে গেছে। এখন অনেকটাই শুধুই প্লেকার্ডে লিখা স্লোগানের মতো। সম্প্রতি হঠাৎ করে চারদিকে জনসমাগম এবং গার্মেন্টস খুলে দেয়ার পর পোশাক শ্রমিকদের দলবদ্ধভাবে কর্মস্থলে যাওয়া-আসার দৃশ্য দেখে করোনা সংক্রমণ হচ্ছে কিংবা এর প্রভাব পড়ছে বলে মনেই হবেনা।
[৩] করোনা ভাইরাস সংক্রমণ হওয়ার পর থেকেই স্বাস্থ্য অধিদফতর বারবার সামাজিক দূরত্ব মেনে চলার কথা বললেও, প্রশাসনের বারবার নির্দেশনা সত্বেও তা মানছেন না সাধারণ মানুষ। তাছাড়া সরকারি নির্দেশ মোতাবেক প্রায় দুমাস বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, গণপরিবহন এবং আন্তঃজেলা পরিবহন। শুধু খাদ্যসামগ্রীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে খোলা থাকলেও করোনা আতংকে রয়েছে নগরবাসী।
[৪] এই করোনার ক্রান্তিকালের মধ্যেই চরম মুহূর্তে খুলে দেয়া হলো পোশাক কারখানাগুলো। পোশাক কারাখানাগুলোতে শ্রমিকরা কতটুকু ভাইরাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত? তার কোনো মনিটরিং নেই। শ্রমিকদের কারখানার ভিতরে সুরক্ষার চাদরে সুরক্ষিত রাখা হলেও তাদের চলাচলের কারণে সাধারণ নাগরিকেরা সুরক্ষিত কতটুকু? অটো ট্রান্সমিশনে যদি করোনার সংক্রমণ হয় তাহলে বাসা থেকে কারখানা পর্যন্ত পৌঁছাতে সামাজিক দূরত্ব না মেনে দলবেঁধে অফিসে যাওয়া-আসা কতটুকু যৌক্তিক? স্বাভাবিকভাবে শঙ্কায় রয়েছেন গার্মেন্টস এলাকার আশেপাশের বাসিন্দারা।
[৫] চট্টগ্রাম ইপিজেড এবং নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, যেসব পোশাক কারখানাগুলো খোলা ওই এলাকার আশেপাশের দোকানপাট প্রায়ই খোলা থাকে। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হার বেড়ে যেতে পারে। শঙ্কায় রয়েছেন গার্মেন্টস এলাকার মানুষগুলো।
[৬] সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে, অসতর্কভাবে দলবদ্ধভাবে পোশাককর্মীদের এই যাতায়াত ভাবিয়ে তুলছে নগরীর প্রতিটি সচেতন নাগরিককে।
[৭] সংক্রমণ প্রতিরোধে পুলিশ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন উদ্যোগ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতকরণসহ বিভিন্ন প্রচারণায় নগরবাসী সতর্ক অবস্থায় ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে পোশাককর্মীদের জনস্রোত জনমনে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে।