শিরোনাম
◈ অর্থনীতিতে ইতিবাচক ইঙ্গিত: রেকর্ডসংখ্যক কোটিপতি ব্যাংক হিসাব ◈ কাতার ও ফিলিস্তিনের প্রতি অবিচল সমর্থন জানালো বাংলাদেশ ◈ দুবাইয়ে বিকৃত যৌ.নাচার ব্যবসার চক্রের মুখোশ উন্মোচন এবার বিবিসির অনুসন্ধানে! ◈ জনপ্রশাসনের ১৭ কর্মকর্তাকে বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসে বদলি ◈ ‘আমার নাম স্বস্তিকা, বুড়িমা নই’ ক্ষোভ ঝাড়লেন স্বস্তিকা ◈ তিন জেলার ডিসিকে প্রত্যাহার ◈ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের মেয়াদ আবার বাড়ল ◈ আর্থিক সুবিধা নেওয়ায় কর কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ লড়াই ক‌রে‌ছে হংকং, শেষ দি‌কে হাসারাঙ্গার দাপ‌টে জয় পে‌লো শ্রীলঙ্কা ◈ দুর্গাপূজায় মণ্ডপ পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা ইউনূসকে আমন্ত্রণ হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের

প্রকাশিত : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৩৭ রাত
আপডেট : ৩০ এপ্রিল, ২০২০, ০২:৩৭ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে তাহাজ্জুদ নামাজের বিকল্প নেই

হুসাইন মাহমুদ : আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় হাবিব সা.কে ইসলামের প্রথম যুগে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায়ের নির্দেশ দেন দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ হওয়ার পূর্বে।

কুরআনের বিভিন্ন সুরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণি তাহাজ্জুদ গুজারি।

তাহাজ্জুদ নামাজ সুন্নাতে মুআক্কাদাহ। ইসলামের সূচনার যুগে এটি মহানবী সা. ও উম্মত সবার জন্য ফরজ ছিল। রাসূল সা.-এর মে’রাজের পর তা নফল হয়ে যায়। যেমন সূরা মুজ্জাম্মিলের শুরুতে আল্লাহ তা’আলা প্রিয় নবি সা.কে বিশেষভাবে রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আল্লাহ তাআলা বলেন- ‘হে চাদর আবৃত, রাতের নামাজে দাঁড়াও কিছু অংশ ছাড়া। (সুরা মুজাম্মিল : ১-২)

আবু হুরায়রা রা: থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) কে বলতে শুনেছি। আফজালুস সালাতি বা’দাল মাফরুদাতি সালাতুল লাইলি অর্থাৎ ফরজ নামাজের পর সবচেয়ে উত্তম নামাজ হলো তাহাজ্জুদের নামাজ। (মুসলিম, তিরমিজি, নাসাঈ-হাদিস নং ১১৬৭/২)

রাসুল সা. বলেন,আল্লাহ তা’আলা প্রত্যেক রাত্রে দুনিয়ার আসমানে (যা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়) নেমে আসেন যখন রাত্রের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকে । অতঃপর তিনি বলেন, তোমাদের কে আমাকে ডাকবে! আমি তার ডাকে সাড়া দিব । কে আমার কাছে কিছু চাইবে আমি তাকে তা দিব, কে আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করে দিব। (মুসলিম, মেশকাত ১০৯ পৃঃ)

রাসুলুল্লাহ সা্ল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নিয়মিত তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তেন এবং সাহাবায়ে কেরাম (রা.) কে তা নিয়মিত আদায় করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতেন। পবিত্র কুরআনে তাহাজ্জুদ নামাযের জন্য বিশেষভাবে তাকিদ করা হয়েছে।

যারা বিনা হিসাবে জান্নাতে যেতে পারবেন, তাদের মধ্যে একশ্রেণির লোক তারা, যারা যত্নের সঙ্গে তাহাজ্জুদ নামাজ আদায় করেন। কুরআনের বিভিন্ন সুরায় এ নামাজের প্রতি তাগিদ দেয়া হয়েছে। তাই প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পর সাহাবায়ে কেরাম, তাবেয়ি, তাবে-তাবেয়িসহ সব যুগের ওলি ও দ্বীনদার তাহাজ্জুদ নামাজে রাত কাটিয়ে দিয়েছেন।

উপরুক্ত কুরআন ও হাদিসের বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় যে, নামাজগুলোর মধ্যে তাহাজ্জুদ অতি মর্যাদাপূর্ণ নামাজ।এই নামাজে প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীরই পালন করা উচিত। এর মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য লাভ সহজ হবে। আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে প্রতিনিয়ত তাহাজ্জুদ আদায় করার তাউফিক দিক। আমিন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়