রবিউল আলম : বিগত ৬ দিন জনগণের অধিকার একটু কমদামে মাংস খাওয়া জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার জনগণের কাছে পৌঁছানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করেছেন মাননীয় মেয়র জামাল মোস্তফা। ইতোমধ্যে গাবতলী গরুর হাট সম্পত্তি বিভাগের পাতানো খেলায় ইজারাদারশূন্য দেখানো হয়েছে। অজুহাত ছিলো করোনা। ১১ কোটি টাকার হাট ৫/৬ হাজার টাকা প্রতিদিন সিটি করপোরেশনের কোষাগারে জমা দিয়ে বিভাগীয় কালেকশন দেখানো হচ্ছে। মাংস ব্যবসায়ীদের দাবি : ১. সরকার নির্ধারিত গরুর হাটের খাজনা বাস্তবায়ন করতে হবে। ২. মাংস ব্যবসায়ী সমিতির অফিস জবরদখল মুক্ত করতে হবে। এই যুক্তিসঙ্গত দাবি মেয়রসহ সবাই মেনে নিয়ে রেজুলেশন করার সময় প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার বাধার জন্য মূল্য নির্ধারণ হয়নি। এই আলোচনা ও রমজানে মাংসের মূল্য নির্ধারণ বাস্তবায়ন হলে ৫/৬ হাজার টাকা জমা দিয়ে ১১ কোটি টাকার হাট ভোগ করতে পারবেন না, গোমর ফাঁস হওয়ার ভয় থেকেই জনগণের অধিকার আদায় হলো না আমরা মনে করছি। ভারপ্রাপ্ত মেয়র, সব কর্মকর্তা অসহায়ের মতো চেয়ে থাকলেন, আমাদের বোঝানোর সময় দেওয়া হলো না ২০১৫ সালের ২৮০ টাকার মাংস আজ ৬০০ টাকা কেন? করপোরেশনের চেয়ার পরিবর্তন হয়, কালো টাকার চরিত্রের পরিবর্তন নেই। রমজানের পবিত্রতা কালো টাকার কাছে বন্দি। ভেঙে গেলো ৪৫ বছরের মাংসের মূল্য নির্ধারণী সভা, একজন অফিসারের ইচ্ছা, একজন ইজারাদারের স্বার্থ, একজন সোনা চোরাচালানি ও টাকা প্রাচারকারীকে রক্ষা করার জন্য জনস্বার্থ রক্ষা করতে পারলেন না, মেয়র ভারপ্রাপ্ত হওয়াতে। দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র জনগণের অধিকার কীভাবে রক্ষা করবেন, আদৌ হবে কিনা আমলাতান্ত্রিক জটিলতা মুক্ত করতে ভোটে নির্বাচিত মেয়র আতিকুল ইসলাম। সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, মেয়র সাঈদ খোকনের আন্তরিকতার অভাব ছিলো না জনগণের অধিকার রক্ষা করার জন্য। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পরিকল্পনাকারী, গাবতলী গরুর হাটের ইজারাদার, স্বর্ণচোরাচালানী, টাকা পাচারকারী হুন্ডি ব্যবসায়ীদের কালো টাকার কাছে বন্দি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ছাড়া জনগণের অধিকারকে মুক্ত করতে পারবে না। লেখক : মহাসচিব বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি