মুসা আহমেদ: [২] হাজার হাজার সৌদি নারীর মত কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে রাউয়া আল মৌসা। সমাজ সংস্কারের এ বিপ্লবে ভেঙেছে শতবছরের রক্ষণশীল প্রথা। দেশটিতে নারীদের সর্বক্ষেত্রে অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের যে ঢেউ লেগেছে তা আটকাতে পারবে না কোন বাণিজ্যিক কিংবা সরকারি প্রতিষ্ঠান, এমনকি করোনার মত মহামারিও। এএফপি
[৩] ডিগ্রি অর্জন করে উপযুক্ত একটা চাকরির আশায় বছরের পর বছরে অপেক্ষায় ছিলেন সৌদি এ নারী। মৌসা এমন সময় স্নাতক সম্পন্ন করেছেন যখন চাকরির বাজারে নারীদের বিপ্লব শুরু হয়েছে। এমন প্রতিযোগিতার মাঝে রিয়াদের একটি সরকারি অফিসে অভ্যর্থক হিসেবে সন্ধ্যা শিফটে চাকরি পেয়ে গেলেন তিনি। ওই পদে ছিলো ৬ পুরুষ ও ১০ নারীর সমন্বয়।
[৪] করোনায় চলা লকডাউনে বিশ্বজুড়েই চলছে মহামন্দা। করোনা বিস্তার রোধে অন্যান্যদের মত মৌসাও রয়েছে এখন গৃহবন্দি। তবে তিনি আশাবাদী, এ লকডাউন শিথিলের পর আবার তিনি কর্মক্ষেত্র যোগদান করবেন।
[৫] এএফপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে মৌসা বলেন, শিক্ষাজীবনে ভাল করে নিজেকে প্রস্তত করেছিলাম, যাতে করে এমন একটা যোগ্য পদে চাকরি পেতে পারি। আমার বান্ধবীরা সবাই এখন চাকরিজীবী। দুই একজন চাকরি না পেলে, সেটা ব্যতিক্রম ঘটনা।
[৬] ২০১৬ ছিলো সৌদি আরবের পরিবর্তনের বছর। সেসময় সৌদি রাজপুত মোহাম্মদ বিন সালমান ভিশন ২০৩০ প্রকাশ করেন। অর্থনীতিকে আরো সচল করতে কর্মক্ষেত্রসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ঘোষণা দেন। এর আগেও নারীদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ থাকলেও সেটি ছিলো নারী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সীমিত আকারে।