লাইজুল ইসলাম : [২] সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে রেলওয়ে হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সৈয়দ ফিরোজ আলমগীর বলেন, হাসপাতালটিতে এই সপ্তহের মধ্যেই আমরা রোগি ভর্তী করবো। ইতমধ্যে আমাদের ৯০ ভাগ প্রস্তুতি শেষ হয়েছে।
[৩] যদিও এই হাসপাতালে এক মাস আগেও একজন রোগিও ভর্তী ছিলো না। এটা একটি পরিত্যাক্ত হাসপাতালই ছিলো। এখানো দুই একজন রোগিকে যাও দেখা হতো তা শুধু জ¦র, কাশি, সর্দি হলে। এর বাইরে এই হাসপাতালটির কোনো কার্যক্রম ছিলো না।
[৪] এসব বিষেয়ে তত্ববধায়ক কোনো মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, এই মুহুর্তে হাপাতালের অবস্থা ভালো। একশো বেডের এই হাসপাতালে এই মুহুর্তে আমরা ৮০ বেড পেয়েছি। আর বাকি ২০ বেডও দ্রæত সময়ে মধ্যে পেয়ে যাবো। একশো রোগিকে আপাতত আমরা চিকিৎসা দিতে পারবে।
[৫] একশোর বেশি রোগিকে এখানে রাখা যবে কি না? এমন প্রশ্নের উত্তরে সৈয়দ ফিরোজ বলেন, আমরা আপাতত শুরু করি। এরপর বাকিটা বোঝা যাবে। এটা একটি একশো সজ্যার হাসপাতাল। সরকার চাইলে এটাকে বাড়াতেও পারে। তবে সেজন্য হয়তো সময় লাগবে।
[৬] ডাক্তার-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের থাকার বিষয়ে কি করা হয়েছে? তিনি বলেন, আমরা হোটেল দেখে এসেছি। সেখানে ডাক্তার নার্সরা থাকতে পারবেন। তবে আরো জায়গার প্রয়োজন। সেটাও আমরা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি সমস্যার সমাধান হবে। কারণ কর্তৃপক্ষ যথেষ্ট আন্তরিক।
[৭] ডা. ফিরোজ বলেন, এখানে কিছু সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। এগুলো খুবই ছোটখানো বিষয়। কিছু নার্স বাড়াতে হবে। যা পেয়েছি তা যথেষ্ট নয়। ডাক্তার সবই ঠিক আছে। গাড়ির সমস্যা আছে। ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের আনা নেয়া করার জন্য গাড়ি প্রয়োজন। এ্যাম্বুলেন্সের সমস্যা আছে। সেটাও আমাদের দরকার। আশাকরি এগুলো সমাধান হয়ে যাবে।
আপনার মতামত লিখুন :