আশরাফ আহমেদ, হোসেনপুর প্রতিনিধি :[২] দেশে অন্যান্য স্থানের মতো ও কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরে ঢিলেঢালা লকডাউনে বাড়ছে মারণঘাতি ভয়াবহ করোনাভাইরাস সংক্রমণের শঙ্কা।
[৩] উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার আভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে বৃদ্ধি পেয়েছে যানবাহন,তবে পৌরসভায় মানলেও গ্রামাঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে কোথাও সামাজিক দূরত্ব নির্দেশ মানা হচ্ছে না। এ ছাড়া গভীর রাত থেকে ভোর পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সিএনজি, মাইক্রো, প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স যোগে হোসেনপুরে প্রবেশ করে বহু ব্যক্তি ও পরিবার। ফলে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
[৪] সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার এ পর্যন্ত তিনজন করোনাভাইরাস শনাক্তের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আক্রান্ত ব্যক্তির আশপাশের কয়েকটি পরিবারকে লকডাউন ঘোষণা করেন। পরে জেলা প্রশাসক কিশোরগঞ্জ জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করেন। এতে সম্পূর্ণ উপজেলা লকডাউনের আওতায় আসে। এ অবস্থায় করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে মানুষকে ঘরে রাখতে রাজনৈতিক ও পুলিশ প্রশাসনের তৎপরতায় রাস্তায় যানবাহন এবং হাট-বাজারে মানুষের চলাচল অনেকটা কমে যায়।
[৫] কিন্তু সন্ধ্যার পরে উপজেলায় যান চলাচল, রাস্তায় লোকের সমাগম, দোকানপাট বন্ধ থাকলেও দিনের বেলায় দোকানপাট খোলা,যান চলাচল ও অযথায় লোকের ঘোরাঘুরি বাড়ছে।
[৬] লকডাউনের ঘোষনায় সাপ্তাহিক হাট বাজার বন্ধ থাকার কথা থাকলেও দুপুর ২টা পর্যন্ত কাচা বাজার ও ভোগ্য পণ্যের বাজারে তিল ধারনের জায়গা থাকে না। কিন্তু কোথাও মানা হয় না সামাজিক দূরত্ব। ফলে মরণঘাতি করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
[৭] হোসেনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানুষকে ঘরে রাখতে পুলিশের চেষ্টা অব্যাহত। তবে পুলিশি তৎপরতার পাশাপাশি জনসচেতনতা ছাড়া মানুষকে ঘরে রাখা কঠিন। পুলিশ জনসচেতনতা সৃষ্টিতেও কাজ করছে।সম্পাদনা: ইস্রাফিল হাওলাদার
আপনার মতামত লিখুন :