শিরোনাম
◈ নির্বাচনী দায়িত্বে অপরাধের সাজা বাড়ছে: অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন ◈ দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালত সম্পূর্ণভাবে পৃথক করলো সরকার ◈ অহেতুক চাপ সৃষ্টি করতে জামায়াতের কর্মসূচি: মির্জা ফখরুল ◈ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবিতে রাজপথে সাত দল ◈ স্ত্রী আসলেই নারী কি না প্রমাণ দেবেন ম্যাখোঁ ◈ আগামী বছরের বইমেলার সময় পরিবর্তন ◈ সৌদি-পাকিস্তান প্রতিরক্ষা চুক্তি, যা জানালো ভারত ◈ সরকারি কর্মচারীদের জন্য বড় সুখবর: অবসরে বাড়ছে সুযোগ-সুবিধা, কমছে অপেক্ষাকাল ◈ আগামীকাল ৮ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় ◈ সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলায় যমুনা টিভির সাংবাদিকসহ আহত ৫

প্রকাশিত : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩২ দুপুর
আপডেট : ২৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ডাক্তারদের কাজ করছেন নার্স, অনভিজ্ঞদের দিয়ে চলছে আইসিইউ

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] নেই-এর ওপর ভিত্তি করে দেশে চলছে করোনা চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত প্রথম  ‘কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল’। এমন চিত্র উঠে এসেছে এই হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া রোগীদের ভাষ্য ও তাদের আত্মীয়-স্বজনদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্যে। এবার অব্যবস্থাপনার বিষয়টি উঠে এসেছে হাসপাতালটিতে কর্মরত নার্সদের কথায়।

[৩] সেবাপ্রদানকারী চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষা নিয়ে অনেক কথা হয়েছে এবং হচ্ছে। কিন্তু, সুরক্ষার বিষয়টি উপেক্ষিত এখনও। তারা নিজেরা সংক্রমণের ভয়ে উৎকণ্ঠিত থাকায় সঠিক ও সার্বক্ষণিক চিকিৎসা পাচ্ছেন না এখানকার রোগীদের এই অভিযোগ প্রতিদিনের।

[৪] হাসপাতালে যাওয়া রোগীদের দিন পার হয় চরম প্রতিকুলতার মধ্যে। প্রয়োজনের সময় পাওয়া যায় না নার্স বা ডাক্তারদের। অভিজ্ঞ নার্সদের পরিবর্তে প্রেষণে যোগ দেওয়া নার্সদের পাঠানো হচ্ছে রোগীদের কাছে। আইসিইউ বিষয়ে কোনো অভিজ্ঞতা না থাকার পরও নতুন প্রেষণে আসা নার্সদের দিয়েই চালানো হচ্ছে আইসিইউর কাজ। এসব অব্যবস্থাপনার কথা উঠে এসেছে নতুন প্রেষণে আসা ৪১ জন নার্সের বক্তব্যে। পাশাপাশি তারা অভিযোগ করেছেন হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় যুক্ত নার্সিং কর্মকর্তাদের চরম দুর্ব্যবহার ও অমানবিক আচরণ নিয়ে।

[৫] এ সংকটের সমাধান চেয়ে গত বৃহস্পতিবার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন সেখানে কর্মরত প্রেষণে আসা নার্সদের মধ্যে ৪১ জন। এই নার্সরা জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট হাসপাতাল, জাতীয় নাক, কান, গলা ইনস্টিটিউট, সরকারি ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং ২৫০ শয্যা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল থেকে প্রেষণে এসেছেন কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে।

[৬] তাদের বক্তব্য অনুযায়ী যেসব কাজ ডাক্তারের করার কথা সেগুলোও ডাক্তাররা না করে প্রেষণে আসা নার্সদের করতে বাধ্য করছেন। যেমন: রোগীর প্রেসার মাপা, প্রেসার কম-বেশি হলে নার্সরা রিপোর্ট করার পর তাদেরকেই ওষুধের নাম বলে দিয়ে আসতে বলা হয়। কোনো রোগীর শ্বাসকষ্ট হলেও নার্সদেরকে বাধ্য করা হয় ওষুধ নিয়ে তার কাছে যেতে, যেখানে ডাক্তারের যাওয়ার প্রয়োজনটাই বেশি। আবেদনে তারা এসব সংকটের সমাধান চেয়েছেন। তা না হলে মানবিক বিবেচনায় তাদের প্রেষণাদেশ বাতিল করে নিজ নিজ কর্মস্থলে ফেরত নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। সূত্র: ডেইলি স্টার

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়