রেজাউল করিম : করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণ ছুটি দিয়েছে সরকার। সারাদেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা ঝুঁকি নিয়ে তৃনমূলে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তারা দিন রাত ঝুকি নিয়ে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন অসহায় ও কর্মহীন মানুষের জন্য। কিন্তু তারা পাচ্ছেনা কোন সরকারী সহায়তা।
[২] সুত্রে জানা যায়, মন্ত্রণালয়, জেলা, উপজেলা প্রশাসনের সকল প্রকার দাপ্তরিক রির্পোট রির্টান প্রেরণসহ জরুরি ত্রাণ কার্যক্রম ভিজিএফ, ভিজিডি, জিআর, জেলেদের বিশেষ ভিজিএফ, ১০ টাকা কেজি চাল ও বতর্মান প্রেক্ষাপট প্রবাসীদের তালিকা, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করাসহ সকল কাজ সুষ্ঠভাবে প্রণয়ন ও বিতরণ করছে ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তরা।
[৩] উদ্যোক্তরা জানান, করোনাভাইরাস ঝুঁকিতে অন্যান্য বিভাগ সরকারিভাবে ব্যক্তিগত সামাজিক সুরক্ষা সামগ্রী (পিপিই) পেয়ে থাকে। কিন্তু আমরা প্রতিদিন জনগণের দ্বারে দ্বারে সেবা প্রদান করে যাচ্ছি কিন্তু আমাদের নেই সুরক্ষা ব্যবস্থা (পিপিই)।
[৪] সিরাজগঞ্জ জেলার ডিজিটাল সেন্টার পরিচালক (উদ্যোক্তা) ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, দেশে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর থেকে স্বাস্থ্যবিভাগের পাশাপাশি ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তারা কাজ করে চলেছে। এক্ষেত্রে দেশের অনেক সরকারি দপ্তরে ছুটি থাকলেও ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তরা নিজেদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়েন্টাইন নিশ্চিত করা থেকে শুরু করে রাত জেগে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ও ত্রানের তালিকা সহ যাবতীয় কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করছি। কিন্তু আমরা পাচ্ছিনা সরকারি কোন সহায়তা।
[৭] জেলা সাধারন সম্পাদক পলাশ কুমার বলেন, দেশের এই দুর্যোগমুহূর্তে ঝুঁকি হলেও জনগণের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। সেবা প্রদানে কোনো ত্রুটি নেই তাদের। ইউনিয়ন পরিষদ উদ্যোক্তাদের সার্বিক সুরক্ষা ও যাতায়াতের সহযোগিতায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসনের জরুরি ব্যবস্থা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তারা।
[৮] ডিজিটাল সেন্টার ফোরামের সিরাজগঞ্জের সভাপতি রাশেদুজ্জামান রাসেল বলেন, বিনা পারিশ্রমিকে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এ ক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের কোন আশার বানী পাইনি। আমাদের অনেকের বাড়ীতে খাবার নেই, বউ, বাচ্চা, মা, বাবা নিয়ে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছি, পেটে খাবারের হাহাকার নিয়ে ত্রানের তালিকা, মাস্টার রোল, সহ সকল ধরনের কাজ করে যাচ্ছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টআকর্ষন করছি, মাগো আপনার ডিজিটাল সন্তানদের একটু সু-নজর দিন। নাহলে আমাদের অর্ধহারে দিন পার করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :