শিরোনাম
◈ যুদ্ধ বন্ধের শর্তেই ইসরায়েলি জিম্মিদের ছাড়বে হামাস ◈ হরলিক্স আর স্বাস্থ্যকর পানীয় নয়  ◈ বাংলাদেশে চিকিৎসা সুবিধায় থাইল্যান্ডের বিনিয়োগ চান প্রধানমন্ত্রী ◈ থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে  প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ আন্তরিক অভ্যর্থনা ◈ যে কোনো ভিসাধারী পবিত্র ওমরাহ পালন করতে পারবেন  ◈ পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফে'র গুলিতে বাংলাদেশি নিহত ◈  কমবে তাপমাত্রা, মে মাসেই কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টির সম্ভাবনা ◈ বাংলাদেশ-চীন সামরিক মহড়া মে মাসে, নজর রাখবে ভারত ◈ দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু: চুয়েটে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন স্থগিত, যান চলাচল শুরু ◈ বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ভারত, চীন বা রাশিয়ার মাধ্যমে পরিচালিত নয়: মার্কিন কর্মকর্তা

প্রকাশিত : ২১ এপ্রিল, ২০২০, ০৩:৫৮ রাত
আপডেট : ২১ এপ্রিল, ২০২০, ০৩:৫৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] করোনা জয়ের এক ভিন্ন গল্প জানালেন এক তরুণী

মহসীন কবির: [২] করোনাভাইরাস পজেটিভ হলেও আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতা মেনে চলে করোনা জয় করলেন এক তরুণী।  ফেসবুকে হাসপাতাল ও ডাক্তার-নার্স ও আইইডিসিআরকে নিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতা  তিনি জানিয়েছেন।

স্ট্যাটাসটি আমাদের সময়ডটকমের পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হল----

‘লিখতে লিখতে বেশি লিখে ফেলি...এতে আমার কোনো হাত নাই..

৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় কোভিড-১৯ Positive report আসার পর দ্বিধায় পরে গেছিলাম কোথায় থেকে treatment নিব। IEDCR এর একজন doctor বলল আপনার যেহেতু তেমন কোন symptoms নেই তাই আপনি বাড়িতে থেকেই treatment নিতে পারেন। বাসায় বয়স্ক বাবা-মা আর ছোট ভাগ্নে থাকায় তাদের safety এর কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিলাম hospital এর service যতই খারাপ হোক hospital এ যাব। IEDCR  আমার এ সিদ্ধান্তের কথা জানতেই ওরা আমাকে Kuwait Bangladesh Friendship hospital এর control room এর number দিল.. Call দিলাম ambulance পাঠানোর জন্য.. রাত ১০.০০ টার দিকে ambulance এ করে রওনা দিলাম hospital এর উদ্দেশ্যে। রাত ১১.৩০ এর দিকে পৌঁছলাম। আমাকে room এ পাঠানোর আগেই এক doctor আমার সব details নিয়ে নিল।

Hospital এ ছিলাম ১০ দিন। এই ১০ দিনে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। facebook খুললেই অনেক কিছু দেখা যায়- যেমন : ছেলে করোনা সন্দেহে মাকে জঙ্গলে ফেলে চলে গেছে আবার করোনা আক্রান্ত বাবার লাশ নিতে অস্বীকৃতি... এই রকম news এ যখন facebook এর news feed ভর্তি ঠিক তখনি এই hospital এ আমার চোখের সামনে পৃথিবী তার অন্য রূপ মেলে ধরলো। সেই পৃথিবী ভালোবাসার। একে অপরের পাশে থাকার।

তাইতো Covid-19 Positive wife এর পাশে থাকার জন্য, সাহস যোগানোর জন্য সুস্থ husband ও hospital এ ভর্তি হয়েছে.. অসুস্থ মা- বাবাকে সেবা করার জন্য নিজের life risk নিয়ে মেয়েও থেকে গেছে hospital এ.. ২৪ ঘন্টা Covid-19 আক্রান্ত প্রিয়জনেদের সেবা করে যাচ্ছে তারা.. '' হাতের উপর হাত রাখা খুব সহজ নয় সারা জীবন বইতে পারা সহজ নয়''... কিন্তু যারা বইতে পারে তাদের জন্যই আছে উত্তম প্রতিদান। আর সেই প্রতিদান আসে পরম করুনাময় আল্লাহ তাআলা র পক্ষ থেকে। আর তাই আল্লাহর অশেষ রহমতে আর মেহেরবানীতে আমি চলে আসার দিন পর্যন্ত এই মহান হৃদয়ের অধিকারী মানুষদের Covid-19 negative ছিল।এতো নেতিবাচক খবরের ভীরে এই রকম ভালোবাসা,বিশ্বাস আর সাহসিকতার গল্প গুলো অল্প হলেও নতুন করে বাঁচতে নতুন করে ভাবতে শেখায়।

আরো এক case দেখলাম.. Covid-19 শুধু জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট তেই থেমে নেই.. এটা আসে বিভিন্ন symptoms নিয়ে। আমি যখন IEDCR এ জানালাম আমার তো জ্বর কাশি শ্বাসকষ্ট কিছুই নেই... যে গলা ব্যথা ছিল ঐটাও Antibiotic নেয়ার পর অনেকটাই কমে গেছে.. গত ১৯ দিন আমি আর আমার পরিবারের কেউ ঘরের বাহিরে যাই নি...! আমার কীভাবে positive আসলো!! আমার প্রশ্নের উত্তরটা ছিল এই রকম যে- দেশের প্রায় ৮০% লোকের positive আসবে যদি test করানো হয় কিন্তু এদের কোন symptoms নেই.. Virus টা ওদের আক্রান্ত করে ঠিকই কিন্তু কিছু বোঝার আগেই রোগী ভালোও হয়ে যায়.. Hospital এও তার নমুনা দেখলাম কয়েকটা। পুরান ঢাকার দুইটা family এর সাথে পরিচয় হয়েছে..

১। লোকটি hospital এ admit হয় Covid-19 positive সব লক্ষন নিয়ে.. পরিবারের অন্যান্যদের কেউ যখন test করোনা হলো তখন দেখা গেল উনার স্ত্রী ও এক ছেলের positive কিন্তু বাকি দুই ছেলের negative. আর আরো আশ্চর্যের ব্যাপার হলো Positive স্ত্রী আর ছেলের কোন symptoms ছিল না আর এখন পর্যন্ত নেই। ওরা চাইলেই ঘরে বসেই treatment নিতে পারতো কিন্তু আমরা জাতি হিসেবে এতোটাই নিম্নমানের যে বাসার বাড়িওয়ালা ওদের বাসা থেকে বের করে দেয়াতে hospital এ ভর্তি হতে বাধ্য হয়েছে। যাইহোক লোকটি এখন পুরোপুরি সুস্থ। আশা করি ২-৩ দিনের মধ্যে full family release পেয়ে যাবে।

২। আমার দেখা পুরান ঢাকার ২ নাম্বার family এর কথা বলি। এই Uncle (বয়স আুমানিক ৬৫+) এর Positive ধরা পরে শুধুমাত্র diarrhea symptoms নিয়ে. দুদিন পর উনার wife ভর্তি হলো করোনার সব symptoms নিয়ে। এর দুদিন পর উনাদের ছেলে ভর্তি হল শুধুমাত্র কাশী নিয়ে.. যদিও একইসাথে ছিল তারপরও ছেলের wife আর ওদের ছেলে-মেয়েদের negative ছিল। আমি আসার দিন দেখে আসছি uncle অনেকটাই সুস্থ আর aunty-র ও জ্বর চলে গেছে শুধু হালকা শ্বাসকষ্ট আছে.. ওইটাও চলে যাবে ইনশাআল্লাহ.. হতেই পারে next week এ হয়তো এই family ও release পেয়ে যাবে।

আরো একটা ঘটনা বলি যারা ICU নিয়ে ভয়ে আছেন তাদের জন্য.. এক ভাইয়া করোনা positive নিয়ে ভর্তি হয় ৫ এপ্রিল.. অবস্থা অনেক খারাপ থাকায় উনাকে ICU তে নিয়ে যাওয়া হয়। উনার ভাষ্যমতে ICUতে ২৪ ঘন্টা nurse থাকে (এই information তাদের জন্য যারা ভাবেন nurse রা শুধু ঘুমাইতেছে দেশের এই crisis moment এ)। যাই হোক উনি করোনার সাথে ICU তে ৩ দিন fight করে normal ward এ চলে আসেন ৯ এপ্রিল। হয়তো গতকাল উনার release হয়ে গেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়