ডা. ইকবাল আনোয়ার : প্রকৃত এন৯৫ আর কে এন৯৫ এক নয়। অনেক দেশ চীন থেকে আনা নকল মাস্ক, ফেরত পাঠিয়েছে। এন৯৫ এমন মাস্ক যে, যিনি করোনা রোগী দেখবেন, তিনি যখন এটা পরবেন তখন বাইরের গন্ধ তিনি পাবেন না। পেলে তিনি রোগীর কাছে যাওয়ার জন্য ফিট নন। পিপিইর প্রধান অংশ এ মাস্ক, চোখের এয়ারটাইট চশমা, ফেস সিল্ড। প্রকৃত পিপিই হলেই হবে না। এটাতেও সুরক্ষা হবে না। প্রোপার ট্রেনিং না থাকলে যেখানে তিনটি ডি রয়েছে। ঠিকমতো লেস টাচ টেকনিকে এটা পরা ও খোলা এবং প্রোপার ডিসপোজ করা। কেন ট্রেনিং দেওয়া হয়নি বা বলা হচ্ছে অনলাইন ট্রেনিং দেওয়া হয়েছে হয়তো, যেহেতু প্রকৃত পিপিই তারা দেবে না তাই। এখন তো অনেক কিছুই ভাবতে বাধ্য হই এভাবে। এ জন্যই কী ডাক্তার ছয়জনকে অন্যায়ভাবে চাকরি থেকে খারিজ করা হয়েছে, যেন ভয় পেয়ে কেউ এসব নিয়ে কথা না বলে, আর জনগণ জানে যে, কর্তৃপক্ষ আমাদের দিকে কতো খেয়াল রাখছে। এভাবে প্রকৃত পিপিই পরা ও ট্রেনিংয়ের পরও বিদেশে স্বাস্থ্যকর্মী প্রাণ হারায়।
এখন এ সত্য না বলে নকল মাস্ক ডাক্তারদের/ সেবাকর্মীকে দিয়ে তাদের মৃত্যুর ঝুঁকিতে ফেলা হত্যার শামিল হবে কিনা? না থাকলেও তা সত্য করে বলে দেওয়া ভালো। আমাদের এই আছে। এটা দিয়েই কাজ করতে হবে। এতে সেবাকর্মীর জানা থাকলো কী অবস্থা তার। কিছু প্রকৃত এন৯৫ পরা ছবি দেখা যায় অডাক্তরদের। দেখে লোভ লাগে। হায়! আমার যদি এটা থাকতো। তারা কী করে পেলেন? এটা আড়াই মাস আগে বাংলাদেশের মার্কেটে ছিলো। এখন শোনা যায়, এ মাস্ক নিয়ে সিন্ডিকেটের খবর। এটা সত্যি হলে বিচার কী বলুন? ফেসবুক থেকে