আমিরুল ইসলাম : [২] এই শিক্ষাবিদ আরও বলেন, ১৯২০ সালে ইনফ্লুয়েঞ্জা রোগের কারণে যে মহামারি সৃষ্টি হয়েছিলো তাতে ভারতবর্ষে দেড় কোটি লোক মারা গিয়েছিলো। তারপর সেনসাসে দেখা গিয়েছিলো লোকসংখ্যা কমে গেছে। একশ বছর পর আরেকটি মহামারি আসলো। এই সংকট থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য মানুষকে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে। কিন্তু সর্বতোভাবে সবার পক্ষে ঘরে থাকা সম্ভব নয়। এর কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে বিরাট ধস নামছে সেটা বলে শেষ করা যাবে না।
[৩] শুধু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা নয়, জাতিসংঘ যদি এ ব্যাপারে এগিয়ে না আসে তাহলে এ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় আছে বলে আমার মনে হয় না। কাজেই এ অবস্থায় সবাইকেই মিলে যাতে করে সাধারণ মানুষ খেয়েপরে বাঁচতে পারে এবং চিকিৎসা পায়, এই ব্যবস্থা করতে হবে। [৪] শুধু করোনাভাইরাস নয়, করোনার ভয়ে অন্য রোগীদের সঠিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে না। তারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এই অবস্থাতে বৈশ্বিকভাবে একটা দায়িত্ব গ্রহণ না করলে এটা কোনোভাবেই সেরে উঠবে বলে মনে হয় না।
[৫] করোনাভাইরাসের কারণে যে ত্রাণ ও সাহায্যের ব্যবস্থা করা হয়েছে সেখানে দুর্নীতি রয়েছে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে সমগ্র দেশ ও সরকার যদি কঠোর অবস্থান না নেয় তাহলে এমনটা হতেই থাকবে।