ডেস্ক রিপোর্ট : [২] গতকাল ঘটনাটি ঘটে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে। এদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলমান এ সংঘর্ষ আহত হন শাহাদাত হোসেন, রাশেদ হাজারী, হামিদুল হক বিপ্লব, সফি উল্যা, মামুন, আবু ছায়েদ, শামীম ও সোনিয়া আক্তারসহ ১১ জন। তাদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
[৩] স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হামিদুল হক বিপ্লব তার স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে নিয়ে বসুরহাট প্রাইভেট হাসপাতালে আসেন। পরে তিনি ডা. রৌশন জাহান লাকীকে দেখানোর জন্য সিরিয়াল নেন। তার সিরিয়াল নাম্বার ছিল ৯। পরে সিরিয়াল আগ-পর নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিপ্লবের লোকজনের বাগবির্তক ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার ঘটে।
[৪] বসুরহাট প্রাইভেট হাসপাতালের ম্যানেজার রাশেদ হাজারী বলেন, হামিদুল হক বিপ্লব সিরিয়াল এগিয়ে আনার জন্য সিরিয়ালম্যানের সঙ্গে বাগবির্তকে জড়িয়ে পড়েন। পরে তিনি বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে বিপ্লব ও তার লোকজন তাকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। এর একপর্যায়ে হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন এগিয়ে আসলে তারা উনার ওপরও হামলা করেন। পরে হামলাকারীরা ডা রৌশন জাহানের চেম্বারে হামলা করার চেষ্টা করলে উপস্থিত লোকজনের বাধার মুখে পালিয়ে যান।
[৫] হামিদুল হক বিপ্লব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ওই চিকিৎসকের সিরিয়ালম্যান তার স্ত্রীর সিরিয়াল না দিয়ে পরের সিরিয়ালের লোকজনকে আগে চেম্বারে নিয়ে যান। এ নিয়ে সোনিয়া প্রতিবাদ করলে তাকে অকথ্য ভাষায় কথা ও উতক্ত্য করার চেষ্টা করেন সিরিয়ালম্যান। পরে বিষয়টি ম্যানেজারকে জানাতে গেলে তিনি প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যানসহ আরও লোকজন একত্রিত করেন এবং তাদের ওপর হামলা চালান। পরে তারা বাড়ীতে ফিরে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর হাসপাতল কর্তৃপক্ষ লোকজন নিয়ে পুনরায় তাদের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে তাকে, তার স্ত্রী, তার বাবা, ভাই ও দুই ভাগিনাসহ বেশ কয়েকজনকে পিটিয়ে আহত করেন। আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে বসুরহাট ন্যাশানাল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
[৬] তবে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি আরিফুল রহমান বলেন, হাসপাতালে দু’পক্ষের মধ্যে সমস্যা হয়েছে বলে শুনেছি। তবে এখনও কোনো অভিযোগ আসেনি।
সুত্র : যুগান্তর / এমএম
আপনার মতামত লিখুন :