মুনশি জাকির হোসেন : সমস্যা-১ : গাইবান্ধার প্রান্তিক চাষি তার পচনশীল কৃষিজ পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না, খুচরা/পাইকারি কোনো ক্রেতা নেই। ওই কৃষকের কী কী ক্ষতি হচ্ছে এবার হিসাব কষেন। সমস্যা-১ ক : ঢাকার কাওরানবাজারে পর্যাপ্ত কাঁচা সবজি নেই। দাম বেশি, সরবরাহ কম। ওই সব নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহন, সরবরাহে যারা জড়িত ছিলো তাদের উপার্জন এখন শূন্য।
সমস্যা-১ খ : কাওরানবাজারে সরবরাহ কম থাকাতে ঢাকার অলিগলিতে সবজির দাম বেশি, এমনকি বেশি দামেও পাওয়া যাচ্ছে না। উপরের এই চিত্র মূলত ফুড চেইন সম্পর্কিত। এটি একটি উদহারণ মাত্র। এই সমস্যা প্রতিটি সেক্টরে বিদ্যমান। এগুলো দেখাশোনা করার জন্য শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আছে, খাদ্য মন্ত্রণালয় আছে, সড়ক ও পরিবহন মন্ত্রণালয় আছে। জনগণের অর্থে এ সব অযোগ্য, অপদার্থ, অকেজো, অথর্ব জনবল পুষে কার লাভ হচ্ছে? এগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব কার? এই পরিস্থিতিতে করণীয় কি সেটি কি আইনে বলা আছে? যদি থাকে তাহলে সেটির প্রয়োগ হলো না কেন? যদি আইন না থাকে তাহলে আইন প্রণয়ন করা হলো না কেন? আরেকটি সমস্যা আসছে সামনে ধান কাটা, মাড়াই, শুকানো, ঘরে তোলা, মিলে নিয়ে চাল তৈরি করা। এখানে প্রায় ৩০ লাখ কষি শ্রমিকের দরকার হবে। অথচ আপনি লকডাউন ঘোষণা করছেন। আপনি মনে করছেন চিকিৎসক, নার্স, পুলিশই শেষ কথা। খাদ্য সংকটে পড়লে সেটি মোকাবেলা কীভাবে করবেন? পর্যাপ্ত খাদ্য সরবরাহ না থাকলে কীভাবে ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেবেন? এভাবে হযবরল-এর মধ্য দিয়ে আর কিছুদিন চললে মাৎস্যন্যায় অনিবার্য। ফেসবুক থেকে