শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক হবে গঠনমূলক ও ভবিষ্যতমুখী: হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা ◈ এলডিসি থেকে উত্তরণ: আরও তিন বছরের সময় চাইছে বাংলাদেশ ◈ জাপানে জনশক্তি রপ্তানি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ যেসব সিদ্ধান্ত নিল অন্তর্বর্তী সরকার ◈ ১৭ বিয়ের ঘটনায় মামলা, সেই বন কর্মকর্তা বরখাস্ত ◈ বিএনপি নেতাকে না পেয়ে স্ত্রীকে কু.পিয়ে হ.ত্যা ◈ বাংলা‌দেশ হারা‌লো আফগানিস্তানকে, তা‌কি‌য়ে রই‌লো শ্রীলঙ্কার দিকে  ◈ রোজার আগে নির্বাচন দিয়ে পুরোনো কাজে ফিরবেন প্রধান উপদেষ্টা ◈ ঋণের চাপে আত্মহত্যা, ঋণ করেই চল্লিশা : যা বললেন শায়খ আহমাদুল্লাহ ◈ একযোগে এনবিআরের ৫৫৫ কর্মকর্তাকে বদলি ◈ আবারও রেকর্ড গড়ল স্বর্ণের দাম, ভরিতে বেড়েছে ৩ হাজার ৬৭৫ টাকা

প্রকাশিত : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:৩০ সকাল
আপডেট : ১৫ এপ্রিল, ২০২০, ০৫:৩০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] লকডাউনের ২০ দিন, শ্রমিক সংগঠন এগিয়ে আসছে না, বললেন শাহজাহান খান

সুজিৎ নন্দী : [২] পরিবহন লকডাউন থাকায় সরাসরি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শ্রমিকরা। সারাদেশে বাস-ট্রাকসহ পরিবহন শ্রমিকরা রয়েছেন কমপক্ষে ৬০ লাখ। পরিবহন নেতারা পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রণোদনা দাবি করে আবেদন করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন। পাশাপাশি তাদের চাঁদার তহবিল থেকে কোন সহায়তা তারা পাচ্ছেন না।

[৩] পরিবহন শ্রমিকদের মতে, বৈধ ভাবে প্রতিটি যানবাহন থেকে মালিক-শ্রমিক সংগঠনের নামে প্রতিদিন ৭০ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। এর ৪০ টাকা মালিক এবং ৩০ টাকা শ্রমিকদের। কিন্তু এই বিপর্যয়ের মুখে শ্রমিকর তাদের কল্যান তহবিল থেকে কোন অর্থ বরাদ্দ বা অনুদান বা সাহায্য পাচ্ছে না। তবে শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহজাহান খান বলেন, দলীয় ভাবে এবং সরকারি ভাবে শ্রমিকদের সহায়তা করা হচ্ছে। তাদের কল্যাণ তহবিল থেকে সহায়তা করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশানুরূপ না হলেও কিছু সহায়তা অবশ্যই দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

[৪] ২৬ মার্চ থেকে সারা দেশে পরিবহন চলাচল বন্ধ। পরিবহন খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মোট পরিবহন ব্যবস্থার ২ভাগ গাড়ি কোন না কোন ভাবে চলছে। এর মধ্যে রয়েছে কিছু পণ্যবাহী যান, অল্প কিছু ব্যক্তিগত গাড়ি ও কিছু মোটরসাইকেল। পরিবহন মালিক সমিতিগুলো বলছে, নজিরবিহীন এই পরিবহন সংকটে দৈনিক ক্ষতি হচ্ছে প্রায় সাড়ে ৫শ’ কোটি টাকা।

[৫] মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, পরিবহন লকডাউন থাকায় প্রতিদিনই নতুন নতুন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে আমাদের। আমাদের নিজস্ব পরিবহন মালিকরা কিছুটা সহায়তা করছি। শ্রমিকদের জমানো টাকা দিয়ে এই দুর্যোগ কাটানো যাবে না। সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সরকারি প্রণোদনায় সেবা খাত বলা হয়েছে। তবে সেটা কবে, কীভাবে পাওয়া যাবে, সেটা একটা বিষয়। পোশাক খাত যেমন সবার আগে পাবে।

[৬] সায়েদাবাদ, গাবতলী ও মহাখালী বাস টার্মিনালের অলসভাবে বসে থাকা একাধিক শ্রমিক জানান, এই দুঃসময়ে বাস মালিকরা তাদের পাশে নেই। হাজার হাজার শ্রমিক না খেয়ে রয়েছে। এই মুহূর্তে তাদের পাশে না দাঁড়ালে কোথাও যাওয়ার জায়গা থাকবে না।

[৭] অন্যদিকে পরিবহন মালিকরা জানান, সরাসরি বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে তারা। পরিবহন বন্ধ রেখে লোকসান গুনছেন। সংগঠন থেকে পরিবহন শ্রমিকদের পাশে দাড়ানোর জন্য মালিকদের প্রতি আহ্বান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী প্রণোদনা ঘোষনা করেছেন। সাধারণ পরিবহন মালিকেরাও আয় বঞ্চিত হয়ে কঠিন সময় পার করছেন। গাড়ি সরবরাহকারী ডিলার কোম্পানিকে মাস শেষে কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। সরকার বিভিন্ন খাতের জন্য প্রণোদনার কথা ঘোষণা করলেও পরিবহন খাতের জন্য আলাদা কিছু উল্লেখ করেনি। সাধারণ মালিকেরাও আছেন বেকায়দায়।

[৮] কল্যানপুরের সাধারণ পরিবহন মালিক জানান, অবস্থাও খুব একটা ভালো নয়। প্রায় সবাই ব্যাংক ঋণ নিয়ে অথবা বিদেশি কোম্পানির ডিলার বা এজেন্টদের কাছ থেকে কিস্তিতে সুদাসলে যানবাহন ক্রয় করে। তাদের মাস শেষে মোটা অঙ্কের টাকা কিস্তি পরিশোধ করতে হয়। আয় বন্ধ থাকায় চালক সংসার চালাতে পারছেন না। আর সাধারণ পরিবহন মালিকেরা কিস্তি পরিশোধ করতে পারছেন না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়