শিরোনাম
◈ এই মুহূর্তে বিএনপি ছাড়া অন্য কোনো দল দেশ পরিচালনায় সক্ষম নয়: নুর (ভিডিও) ◈ গাজা উদাহরণ টেনে বাংলাদেশকে ‘সবক শেখানো’র হুমকি, শুভেন্দুকে ঘিরে তীব্র সমালোচনা ◈ ওসমান হাদি হত্যার মূল ২ আসামি ভারতে পালিয়েছে, মেঘালয়ে গ্রেপ্তার ২: ডিএমপি ◈ নির্বাসন শেষে প্রত্যাবর্তন: তারেক রহমানের ফেরা কি রাজনৈতিক মোড় পরিবর্তনের ইঙ্গিত? ◈ রিটার্ন দাখিলের সময় আরও একমাস বেড়েছে ◈ লটারিতে সাজা‌নো মাঠ প্রশাসন দি‌য়ে সুষ্ঠু নির্বাচন কি সম্ভব?  ◈ ২০২৬ সালে চাঁদে পা রাখবে পাকিস্তান ◈ দুবাই ক্যাপিটালসে মুস্তাফিজের বিকল্প কে এই কলিম সানা? ◈ সংস্কার প্রশ্নে জামায়াত-এনসিপি একমত, নির্বাচনী সমঝোতার ব্যাখ্যা দিলেন আখতার হোসেন ◈ জামায়াতের সঙ্গে সমঝোতা করলে এনসিপিকে কঠিন মূল্য চুকাতে হবে: সামান্তা শারমিন

প্রকাশিত : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:৪১ সকাল
আপডেট : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:৪১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ব্যবহৃত মাস্ক ধুয়ে বিক্রি ১০ লাখ টাকা জরিমানা

ইসমাঈল হুসাইন ইমু : [২] দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের। এসব পণ্য বিক্রি হচ্ছে চড়া দামে। এই সুযোগে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহার করা সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ধুয়ে বাজারে বিক্রি করছিল। যাতে করোনাসহ স্বাস্থ্যঝুঁকি রয়েছে। অবশেষে চক্রটি ধরা পড়েছে র‌্যাবের হাতে।

[৩] সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর পান্থপথে এ এস ট্রেডিং নামে একটি প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ সময় বিপুল পরিমাণ পূর্বে ব্যবহৃত মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস জব্দ করা হয়। পরে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা ও প্রতিষ্ঠানটির মালিক এ এস এম মুসাকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

[৪] র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন আগামীনিউজকে জানান, দেশের বাজারে সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস বিক্রি করতে হলে ওষুধ প্রশাসন থেকে অনুমতি নিতে হয়। তারপর আমদানি করে বাজারে ছাড়তে হয়। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানটির এমন কোনো অনুমোদন ছিল না। এর থেকে গুরুত্বর অপরাধ তারা করেছে সেটা হলো- বিশ্বের নামিদামি ব্রান্ডের সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভসের বক্স তারা ধানমন্ডিতে তৈরি করে। পরে সেসব বক্সে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ব্যবহৃত সার্জিক্যাল মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস ধুয়ে প্যাকেট করে বাজারে বিক্রি করত। আর এজন্য নিজেদের মতো করে ব্রান্ড তৈরি করেছিল। যাতে তাদের কোনো অনুমোদন ছিল না। পুরোটাই ভুয়া।

[৫] মাস্ক কোথায় বানিয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা তাদের স্টোর রুমে পূর্বে ব্যবহৃত এসব জিনিস পেয়েছি। একটা নতুন মাস্ক ও হ্যান্ড গ্লাভস দেখলে তো বোঝার কথা। কিন্তু তাদের এগুলো দেখেই বোঝা যাচ্ছে পূর্বে ব্যবহৃত। এছাড়া মেঝেতে ধুলা বালির মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে রাখা ছিল। কোন কোন জায়গা থেকে এগুলো এনে প্রসেস করেছিল এসব বিষয় আমার গোয়েন্দা নজরদারিতে রেখেছি।

[৬] র‌্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রতিটা গ্লাভসের প্যাকেট একশ পিস করে থাকে। যেটার মূল্য থাকার কথা। কিন্তু তাদের প্যাকেটের গায়ে কোনো মূল্য কিংবা উৎপাদন তারিখ, মেয়াদ শেষ হওয়ার তারিখ কিছুই ছিল না। এসব পণ্য পাইকারি দামে দোকানিদের কাছে দিয়ে দিতো, তারাই (দোকানিরা) তাদের মতো করে দাম বসিয়ে নিতো। দাম না দেওয়ার কারণ হিসেবে বাজারে চাহিদা বেশি তাই ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো দাম হাঁকাতে পারবে। দেশের এই ক্লান্তিকালে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে র‌্যাবের অভিযান অব্যাহৃত থাকবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়