ইসমাঈল হুসাইন ইমু: [২] শুক্রবার সন্ধ্যায় সাক্ষাতের বিষয়টি কারা সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে শুক্রবারই মাজেদকে ফাঁসি দেয়া হবে কিনা তা নিশ্চিত করেনি কারা কর্তৃপক্ষ।
[৩] এদিকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ফাঁসির মঞ্চটি সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রস্তুত রয়েছে জল্লাদের একটি দল। যেকোনো সময় কার্যকর হতে পারে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আবদুল মাজেদের ফাঁসি।
[৪] খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর করতে জল্লাদ শাহজাহানের নেতৃত্বে মো: আবুল,তরিকুল ও সোহেল সহ ১০ জনের জল্লাদের একটি দল তৈরী করেছে ঢাকা জেল কতৃপক্ষ।
[৫] এর আগে বুধবার রাতেই রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো তার প্রাণভিক্ষার আবেদনটি নাকচ করা হয়। প্রাণভিক্ষার আবেদন রাষ্ট্রপতি বাতিল করে দেওয়ার পর সেই চিঠিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছে। কারাবিধি অনুযায়ী পরবর্তী কার্যক্রম চলবে। আগামী শনি অথবা রোববার যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করা হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে।
[৬] সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে এখন পর্যন্ত কোন ফাঁসি কার্যকর হয়নি। তবে মঞ্চটি সবসময় প্রস্তুত থাকে। স¤প্রতি নতুন করে ধোয়ামুছা করা হয়েছে। এতে যেকোনো সময় ফাঁসি কার্যকর করা যাবে।
[৭] বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আবদুল মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। প্রাণভিক্ষার আবেদন বাতিল হয়ে যাওয়ায় ফাঁসির আদেশ কার্যকরে আর কোনো বাধা থাকলো না। এখন পরবর্তী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার ফাঁসির দণ্ড কার্যকর করা হবে। ২৩ বছর ধরে পলাতক আবদুল মাজেদকে গত সোমবার মধ্যরাতে মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। পরদিন মঙ্গলবার দুপুরে মাজেদকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে সিটিটিসি। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
[৮] কারাগার সূত্র জানায়, কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার টিতে বন্দি রাখার পর কোনো আসামির ফাঁসি হয়নি। তবে ফাঁসির মঞ্চটি সবসময় প্রস্তুত রাখা হয়। এই ফাঁসির মঞ্চে প্রথম কোনো আসামিকে ঝুলিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :