ওয়ালিউর রহমান: বঙ্গবন্ধুর খুনি এবং জেল হত্যার খুনি ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ শেষ পর্যন্ত ধরা পড়লো। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচারিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে চলার জন্য যে টাস্কফোর্স গঠন করা হলো আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সেখানকার প্রধান সমন্বয়ক ছিলাম। সে সময় বজলুল হুদাকে ফিরিয়ে আনতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে এক্সট্রাডিশন ট্রিটি (extradition treaty) তৈরি করতে আমাকে সহায়তা করলেন আব্দুল হান্নান খান, বর্তমানে তিনি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক। ইনফরমেশন কমিশনের প্রয়াত চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ফারুক, এনএসআই-এর ডিজি প্রয়াত মশিউর রহমান, ব্যাংককে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আকরামূল কাদের ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কিছু কর্মকর্তা এ কাজে আমাকে সহায়তা করেন।
খুনি আব্দুল মাজেদ পাকিস্তানে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঢাকা এয়ারপোর্টে স্বাধীনতার স্বপক্ষের কিছু কাস্টমস অফিসারের হাতে সে ধরা পড়ে। পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে সে সময় ফোন দেওয়া হলে তিনি পররাষ্ট্র সচিবের কথা বললেন। এরপর পররাষ্ট্র সচিব বললেন ‘আমাদের কিছু করার নেই’। সে সময় আমি জানতে পারলে তাকে তখনোই গ্রেপ্তার করা যেতো।
প্রধামমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা ইউরোপ ও আফ্রিকায় গিয়েছিলাম। সেখানে বঙ্গবন্ধুর খুনিরা আস্তানা গড়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা করতো। আমরা ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সহায়তায় তারা মিলানে যে বিল্ডিংয়ে আস্তানা গেড়েছিলো সেটি সিলগালা করে দিই। একইভাবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের সহায়তায় আমরা লন্ডনেও তাদের আস্তানা সিলগালা করে দিই। মাজেদকে গ্রেপ্তার করাটা একটা বড় সফলতা। সে শুধু বঙ্গবন্ধুর খুনিই ছিলো না। সে ছিলো অনেক ধূর্ত প্রকৃতির লোক। তার ফাঁসির জন্য সারাদেশবাসী অপেক্ষা করছে।
লেখক : গবেষক