মোশায়ারা আক্তার জলি : [২] এর সংক্রমণ প্রতিরোধে কুমিল্লার দাউদকান্দির বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সরকারি নির্দেশনা মানা হচ্ছে না।উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারগুলোতে মানুষের উপস্থিতি এতটাই বেশি যে,দেখে বোঝার উপায় নেই দেশে কোভিড-১৯ আতঙ্কে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে।সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক মার্কেট, শপিংমল,গার্মেন্টসের দোকান,স্বর্ণের দোকান ও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে।চাহিদা অনুযায়ী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি মুদি,মাছ-মাংস,সবজি ও কাঁচামালের দোকানপাট প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকে।অথচ এসব হাট-বাজারের চিত্র ছিলো যেন সাধারণ মানুষ ঈদের বাজার করতে এসেছেন।তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সচেতনতা মানা হচ্ছে।
[৩] আজ মঙ্গলবার সকালে মুদি দোকান,বিস্কুট পট্টি,পান বাজার ও ফলের দোকানে সরেজমিনে দেখা গেছে মানুষের উপচেপড়া ভিড়।এরমধ্যে মহিলাদের উপস্থিতি বেশি ছিলো।প্রায় মহিলাদের সাথে ১-৮বছরের শিশু দেখা গেছে যাদের মুখে মাস্ক ছিলো না।দাউদকান্দি পৌর বাজারের প্রধান সড়কে পুলিশের ২টি পিকআপ গাড়িতে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক মাইকিং চলছে।কিন্তু কে শুনে কার কথা? কোভিড-১৯ সংক্রমণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা সেখানে কেউ কেউ ভিড় ঠেলে বাজার করতে ব্যস্ত। কোভিড-১৯ প্রতিরোধে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতার মুখে মাস্ক ছিলো না।মানুষের ভিড় দেখে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এ নিয়ে ছবি পোষ্ট করে লেখালেখি করেছেন।
[৪] মানুষের উপচেপড়া ভিড় দেখে,বাজারগুলোতে মানুষের আনাগোনা কমাতে এবং বাজারগুলো থেকে মানুষকে বাড়ি ফেরাতে দাউদকান্দি মডেল থানা পুলিশ কঠোর অবস্থান নেয়।রাস্তার পাশে ফুটপাতের ফলের দোকান বন্ধ করে দেয় পুলিশ।জনসমাগম ঠেকাতে আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ব্যাটারী চালিত অটো রিকশা ও সিএনজি পৌরসভা বাজারে বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
[৫] দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও)মো. কামরুল ইসলাম খান বলেন,সাধারণ জনগণকে অনেকদিন ধরেই বিভিন্নভাবে সচেতন করা হচ্ছে,কেউ মানছে আবার বেশীর ভাগ লোকই সরকারের নির্দেশনা মানছে না।যারা অনিয়ম করছে,করোনা প্রতিরোধে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে নামছি।