ডেস্ক নিউজ: [২] করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে ঘোষিত এ ছুটিতে রাজধানীর থানাগুলোতে আসামি গ্রেপ্তার উল্লেখযোগ্যহারে কমেছে।
[৩] ঢাকা সিএমএম আদালতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ ছুটিতে সিএমএম আদালতে প্রতিদিন বিকেল ৩টার দিকে দুটি করে আদালত বসছে। শুধু নতুন গ্রেপ্তার আসামিদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য। অপরাধের ধরন অনুযায়ী, কিছু আসামির জামিন হচ্ছে। যাদের হাজতখানা থেকেই মুক্তি দেওয়া হয়। সূত্র: সময় নিউজ, যমুনা নিউজ
[৪] আর যাদের জামিন নামঞ্জুর হয় তাদের কেরানীগঞ্জ কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজন না হলে গ্রেপ্তার হয়ে আসা কোনো আসামিকেই আদালতের কাঠগড়ায় ওঠানো হচ্ছে না।
[৫] এ প্রসঙ্গে ঢাকা সিএমএম আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশের এসআই শহিদুল ইসলাম বলেন, রাজধানীর থানাগুলো থেকে আগে প্রতিদিন ১৫০ থেকে ২০০ জন গ্রেপ্তার আসামি আসতো। এখন তা কমে ২৫/৩০ জনে নেমে এসেছে।
[৬] তিনি আরও বলেন, রাজধানীতে ৫০টি থানা রয়েছে। আগে প্রত্যেক থানা থেকে গ্রেপ্তার আসামি আসতো। বর্তমানে কোনো কোনো থানা থেকে একজন আসামিও আসে না। আবার অনেক থাকায় একজন বা দুজন আসামি পাওয়া যায়।
[৭] সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনাভাইরাসের কারণে রাজধানীসহ দেশে অপরাধ প্রবণতা অনেক কমে এসেছে। তাই থানায় মামলা হাচ্ছে কম। এ ছাড়া পুলিশ প্রশাসন এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মাঠে কাজ করায় তারা পূর্বে মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারে সময় দিতেও পারছেন না। তাই আসামি গ্রেপ্তার কমেছে।
[৮] উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১৯ মার্চ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস কারাগার থেকে কোনো আসামিকে আদালতে না আনতে বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন।
[৯] এরপর গত ২২ মার্চ জামিন শুনানি ও অন্যান্য জরুরি বিষয় ছাড়া সকল প্রকার মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখারও বিজ্ঞপ্তি প্রদান করেন। পরবর্তী সময়ে সরকারি ঘোষিত ছুটির সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টসহ সকল আদালতে ছুটি ঘোষণা করে রেজিস্ট্রার জেনারেল অফিস। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ