জাকির তালুকদার : সরকারের সীমাহীন ব্যর্থতা ও দায়িত্বহীনতা সত্ত্বেও দেশে এখন পর্যন্ত করোনার বিস্তার কম আছে। সরকারের পরিসংখ্যানকে কিছুটা ভুল বলাই যায়। তবু আমি মনে করছি সংখ্যা খুব বেশি নয়। কথাটি বলছি দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর করোনা শনাক্তের সংখ্যা দেখে। শ্রীলঙ্কা, ভারত, নেপাল, ভুটান, পাকিস্তানসহ দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সব দেশেই করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কম। করোনা ছড়িয়ে পড়ার প্যাটার্নটি একটু আশাও জাগাচ্ছে। চীন থেকে দক্ষিণ কোরিয়া হয়ে ইউরোপ-আমেরিকায় ছড়াচ্ছে। এখন পর্যন্ত আমাদের অঞ্চলে কম। যদিও বেশি আশাবাদী হওয়াটা বোকামি। আফসোস হচ্ছে সরকার তিন-তিনটি মাস হাতে পেয়েও দেশে করোনা প্রবেশে বাধা দেওয়ার কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।
শ্রীলঙ্কা জানুয়ারি মাসেই বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনের ব্যবস্থা করেছিলো। সেদিন থেকেই সারাদেশ লকডাউন করে দিয়েছিলো। আর আমাদের সরকার ভানুর কৌতুকের মতো ‘দেকিই না কী করে’র ভঙ্গিতে মশারির মধ্যে শুয়ে শুয়ে বউয়ের গলা থেকে চোরের হার খুলে নেওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছে। মসজিদে জামাত, গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি চালু রাখা, টিসিবির পণ্য সংগ্রহের ভিড়, ত্রাণ সাহায্যের জন্য জটলা হুড়াহুড়িÑ এ সব চালু রেখে সরকার যে লকডাউন করছে, তাকে কেউ কেউ তামাশা বলছে। অন্তত অর্ধেক তামাশা তো বটেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :