সুজন কৈরী : [২] করোনাহভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে ২৬শে মার্চ থেকে সরকার ঘোষণা করে সাধারণ ছুটি। প্রথমে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত বলা হলেও পরে তা বাড়িয়ে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা। এলাকায় এলাকায় মাইকিং করে সচেতনতা তৈরির নানা পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাসা থেকে বের না হওয়ার অনুরোধ করা হচ্ছে।
[৩] প্রথম দুই তিনদিন এই অনুরোধ মানলেও সময়ের সঙ্গে তা আর মানছেন না অনেকেই। প্রয়েজন ছাড়া সড়কে বের হচ্ছেন অনেকেই। এছাড়া বিভিন্ন অলিগলিতে চলছে গ্রæপ করে আড্ডা।
[৪] নাগরিকদের শৃঙ্খলায় ফেরাতে বিভিন্ন মোড়ে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এতেই পুলিশ দেখতে পায়, যানবাহন নিয়ে অপ্রোয়জনেই বেশি বের হচ্ছে মানুষ। করোনা থেকে নিরাপদ থাকতে বের হওয়া এসব মানুষদের অকারণে ঘুরে না বেড়াতে অনুরোধ করছেন পুলিশ সদস্যরা। করোনার ভয়াবহতা জানিয়ে হাতজোড় করে অনুরোধ জানিয়ে বাসায় ফেরার পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।
[৫] পুলিশ সদস্যরা জানান, ব্যাংকে লেনদেনসহ নানা অজুহাতে বাসা থেকে বেরিয়ে আসছেন অনেক নগরবাসী। গণপরিবহণ না থাকলেও অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেন। সেইসঙ্গে রয়েছে সিএনজি অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলও। যার মাধ্যমে করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য চেকপোস্টে যানবাহন থামিয়ে লোকজনকে বাসায় ফিরতে অনুরোধ করা হচ্ছে।