সুব্রত বিশ^াস : কোভিড-১৯ কতো ক্ষতিসাধনের পর থামবে, তা অজ্ঞাত। কিন্তু আশঙ্কা, দেশের অর্থনীতি অতিমন্দার গহ্বরে পড়তে পারে। যে দেশে আর্থিক পরিস্থিতি পূর্ব হতেই টলমল; যে অর্থব্যবস্থার সিংহভাগজুড়ে আছে অসংগঠিত ক্ষেত্র; যে দেশের নীতিনির্ধারকেরা অবিবেচনাপ্রসূত সিদ্ধান্ত করতেই অভ্যস্ত। আর্থিক মন্দার মুখে দাঁড়ায়ে জগএ ংবপঃড়ৎ । বাজারে চাহিদা তলানিতে ঠেকছে, কর্মসংস্থানহীনতার হার অর্ধশতকের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছায়াছে।
কোভিড-১৯’এর আক্রমণ ঘটছে এই শরীরেই। তার উপর, অর্থনীতির সিংহভাগই অসংগঠিত। কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সামাজিক দূরত্বরক্ষাই হোক অথবা লকডাউন, প্রতিটি সিদ্ধান্তই অসংগঠিত ক্ষেত্রে গুরুতর প্রভাব ফেলে। প্রভাবটি আরও মারাত্মক হয়ে উঠে অর্থনৈতিক অসাম্যের পরিপ্রেক্ষিতে। আর্থিক অসাম্য ক্রমবর্ধমান। ফলে, জনসংখ্যার সিংহভাগের ক্রয়ক্ষমতা অতি সীমিত। কোভিড-১৯’এর কারণে যদি তাদের আয় আরও কমে, বা সাময়িক ভাবে বাজার বন্ধ
হয়ে যায়, তবে সেই ক্রয়ক্ষমতা আরও কমবে। প্রভাব পড়বে তাদের পুষ্টি এবং স্বাস্থ্যের উপরও, ফলে ভবিষ্যতেও আয়-সম্ভাবনা হ্রাস পাবে। জনসংখ্যার সিংহভাগের চাহিদা যদি তলানিতে ঠেকে, তবে বাজারের উপর তার প্রভাব ভয়ঙ্কর। করোনাভাইরাস বিদায় হলেও বাজারের স্বাস্থ্য ফিরবে না। বস্তুত, সেই বিপদের ইঙ্গিত মিলতে আরম্ভ করছে। আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা মুডিজ সম্ভাব্য আয়বৃদ্ধির হারকে ছাঁটছে। ফেসবুক থেকে