শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ০১ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল
আপডেট : ০১ এপ্রিল, ২০২০, ০৬:০০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বিগত পাঁচ বছরে করোনা নিয়ে অনেক গবেষণাপত্রে দেখা যাচ্ছে, আর্দ্রতা বাড়লে করোনাভাইরাসের কার্যক্ষমতা কমে

বিপ্লব পাল : করোনাভাইরাস আর্দ্র আবহাওয়াতে অ্যাক্টিভিটি হারায়। এটা হু থেকে বলেনি। কিন্তু গত পাঁচ বছরে করোনা নিয়ে অনেক গবেষণাপত্র পাচ্ছি, যেখানে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে আর্দ্রতা বাড়লে এই ভাইরাসের কার্যক্ষমতা কমে। এর কারণ করোনাভাইরাসে করোনাÑ ওই স্পাইকগুলো। স্পাইকগুলো গ্লাইকোপ্রোটিন দিয়ে তৈরি। গ্লাইকোপ্রোটিনে আমাইনো এসিডÑ যা প্রোটিনের মনোমার, আর আলিস্যাকরাইড দিয়ে তৈরি। আলিস্যাকরাইড আবার মনোস্যাকরাইড গ্লুকোজ চেইন। ওই আলিস্যাকরাইড আর্দ্র আবহাওয়াতে, বাতাসের জলীয় বাষ্প শোষণ করে। এতে দুটো কাজ হয়। ভারি হয়ে মাটিতে দ্রুত নেমে আসে। আর ৯০ শতাংশ রিলেটিভ হিউমিডির উপর করোনার স্পাইকগুলোও দুর্বল হয়। কারণ জলের অণুর সঙ্গে হাইড্রোজেন বন্ডিংয়ের কারণে, স্পাইক অ্যানিম্যাল সেল মেম্ব্রেনের সঙ্গে বন্ডিং করতে অসুবিধায় পড়ে। নিউইয়র্ক সিটিও কিন্তু যথেষ্ট হিউমিড। তাহলে ওইখানে ছড়ালো কেন? নিউইয়র্ক সিটির হিমিউডিটি গত তিন সপ্তাহে ১০ থেকে ৯৭ শতাংশ পর্যন্ত দেখা গেছে। গড়ে ৪০ শতাংশ। কোভিড ইনেফেক্টিভ হতে গেলে ৮৫ শতাংশ + লেভেলের হিউমিডিটি দরকার। সুতরাং নিউয়ার্কের ওয়েদারে করোনা খুব বেশি দুর্বল হবে না। এবার কলকাতা দেখুন। ঢাকা দেখুন। এই দুই শহরের হিউমিডিটি গত দুই সপ্তাহে ৬০-৯০ এর মধ্যে আছে। সুতরাং এখানে করোনা দুর্বল হলেও সম্পূর্ণ সেফ নয়। যেহেতু ৮৫ শতাংশ + লেভেলের হিউমিডিটি সাস্টেইনড নয়।
তবে গড়ে ৭০ শতাংশ হিউমিডিটিতে করোনার প্রকোপ দুর্বল হবে। মৌসুম সিজনে গড় হিউমিডিটি কলকাতায় ৯০ শতাংশ লেভেলে পৌঁছবে। ততোদিনে প্রকোপ বেশ কমে যাবে। তবে দিল্লিতে প্রকোপ খুব বেশি হতে পারে। দিল্লির গড় আর্দ্রতা ৩০-এর কম, ২০-২৪ এর মধ্যে এখন। এর মধ্যে বাসস্টান্ডে ভিড়। সম্পূর্ণ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যর্থতা। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে হার্ড ইমিউনিটির উপর। করোনা দেহকোষে ঢুকে ছটি পাথ ওয়েতে বংশবৃদ্ধি করে। হতেই পারে, ভারতীয় শরীরে ইমিউনিটি আছে অনেক বেশি। ফলে ওই পাথওয়েগুলি এফেক্টিভ হবে না? উত্তর হচ্ছে কেউই জানে না। কিন্তু এটা প্রায় বলা যায়, কলকাতা তথা দক্ষিণ বঙ্গে প্রকোপ কম হবে। বাঁকুড়া পুরুলিয়া এ সব দিকে কেস বেশি হলেও হতে পারে। বেশি উষ্ণতায় কী হবে? সাধারণত ভাইরাসের লিপিডের ওয়াল পাতলা হতে শুরু করে। কিন্তু তাতে কী আটকাবেÑ টেম্পারেচার নিয়ে কিছু গবেষণা আছেÑ সবাই বলছে কমবে, কিন্তু কোনো মাইকোস্কপিক কারণ দেখাচ্ছে না। যেটা আর্দ্রতার ক্ষেত্রে পরিষ্কার এক্সপ্লানেশন আছে। ফেসবুক থেকে

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়