ডা. ইমরান এইচ সরকার : প্রতিদিন দুই থেকে তিন হাজার কল আসছে আইইডিসিআর এর হটলাইনগুলোতে। এর মধ্যে সম্প্রতি দুই দিনে টেস্ট করা হয়েছে ৪২ আর ১০৯টি। দুই দিনে মোট ১৫১টি টেস্টে তারা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাননি। বাংলাদেশের জনসংখ্যা ১৭ কোটির বেশি। ১৭ কোটি মানুষ থেকে হটলাইনে আসা হাজার দুয়েক কল, তারও মধ্য থেকে শ’খানেক টেস্ট করে পুরো দেশের অবস্থা বলে দেওয়া চূড়ান্ত অবৈজ্ঞানিক এবং যুক্তিহীন। করোনাভাইরাসের রোগী শুনলে যেখানে সামাজিকভাবে হেয় করার ঘটনা ঘটেছে, শিক্ষিত-অশিক্ষিত সব মিলিয়ে মানুষের মাঝে সচেতনতা খুব সামান্য যেখানে, সেখানে শুধু হটলাইনের প্রান্তে বসে থাকার মতো বোকামি আর হয় না। মিরপুরে দুইজন মারা গেলেন, তারা যে মসজিদে যেতেন, সেখানকার সব মুসল্লি আর তাদের পরিবারকে টেস্ট করা হয়েছে? তাদের পরিবারের লোকেরা যাদের সঙ্গে মিশেছেন তাদের টেস্ট?
একইভাবে বিদেশ থেকে এসে যাদের টেস্ট পজিটিভ এসেছে, তাদের ক্ষেত্রে? হয়নি। কারণ টেস্টের সংখ্যাটা আমরা জানি। যে ৪৮ জন আক্রান্ত হয়েছেন তারা যাদের সংস্পর্শে গেছেন, সংস্পর্শে যাওয়া লোকেরা প্রত্যেকে আবার যাদের সংস্পর্শে গেছেন, ওইভাবে খুঁজে খুঁজে টেস্ট করা হলেও মোট টেস্টের সংখ্যা কিছুতেই এতো সামান্য থাকে না। দেশের মানুষ চায় না নিজের অথবা আপনজনের ক্ষতি হোক। মানুষ চায় নিরাপত্তা। সেজন্যই তারা সঠিক সংখ্যাটা জানতে চায়। ১০৯টা টেস্ট করে দেশে কেউ আক্রান্ত নেই বলে দেওয়ার মতো অযৌক্তিক কথাবার্তা শুনতে চায় না। টেস্টের ব্যবস্থা না থাকলে সেটা জনগণের সামনে বলুন। তিন মাস কী কী প্রস্তুতি নিয়েছেন, কী কী নেননি, সেটা জানান। সব প্রস্তুতি নেওয়া আছে সেটা মুখে না বলে কাজে দেখান। না পারলে মিথ্যা কথা বলা বন্ধ করুন। ফেসবুক থেকে