বাকী বিল্লাহ : দুইদিন আগেও যেসব মানুষজন বাংলাদেশে আসন্ন করোনা বিপর্যয় নিশ্চিতভাবে দেখছিলেন তাদের অনেকের মধ্যেই বেশ খানিকটা শিথিলতা দেখা যাচ্ছে। আবহাওয়া, খাদ্যাভ্যাস ইত্যাদির নিরীখে আমরা অল্পের মধ্যে পার পেয়ে যাবো অনেকেই এ রকম মনে করছেন এবং তা বলতে শুরু করেছেন। এটা বিপজ্জনক। প্রথমত. আমাদের এখানে টেস্ট বলতে গেলে হচ্ছেই না, দ্বিতীয়ত. বাংলাদেশে প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত যতোগুলো দিন গেছে, এই স্টেজে ইতালি বা ইউএসেরও প্রায় একই অবস্থা ছিলো। প্রথমে খুব ধীরগতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, এরপর এক লাফে এটা বুস্ট হয়ে মহাদুর্যোগে পরিণত হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, দুইদিনে জ্বর, কাশি ইত্যাদি কারণে অনেকগুলো মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।ধরে নিলাম আমাদের কপাল খুব ভালো, কিন্তু কপালের উপর নির্ভর করে নির্ভার হওয়াটা এই মুহূর্তের বাস্তবতা বা কার্যকারণ সম্পর্ককে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হবে। তাই শিথিলতা বা রিল্যাক্স হওয়ার কোনো সুযোগ নেই আপাতত। এই মুহূর্তে সোশ্যাল মিডিয়ার ইমপ্যাক্ট সুপার হাই, এমনকি আওয়ামী লীগ সরকারের মতো তথাকথিত করোনাজয়ী সুপার পাওয়ারও সোশ্যাল মিডিয়ার জনমতকে উপেক্ষা করতে পারছে না পুরোপুরি। টেস্টিং কিট বা ডাক্তারদের জন্য সুরক্ষা পোশাক এগুলো এই সরকারের ভাবনাতেই ছিলো না। কিন্তু প্রচুর সময় নষ্ট করে এখন কিছুটা হলেও বিষয়গুলোকে ধর্তব্যের মধ্যে আনতে হচ্ছে তার। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কথা বলার সুযোগ নেই এখন আমাদের। একমাত্র কার্যকর হাতিয়ার সোশ্যাল মিডিয়ায় কথা বলা। বারবার তাই বলতেই থাকতে হবে। মূল কথা হলো মানুষকে বাঁচানোর দায় নিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। সেটা করোনা হোক বা ক্ষুধা। ওই দায় নিতে বাধ্য করা গেলে টেস্ট হবে, ট্রান্সপারেন্সিও হবে। ফেসবুক থেকে