পলাশবাড়ী (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি : [২] গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে বাড়ী-ঘর ভাংচুরসহ মারপিটে ৪জন আহত হয়েছেন।
[৩] এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ফরকান্দাপুর গ্রামের মৃত হোসেন আলীর ছেলে বাদশা মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত নজলার শেখের ছেলে নুরুন্নবী গংদের সহিত দীর্ঘদিন ধরে জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। উক্ত জমি-জমা বিরোধ সংক্রান্ত বিষয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন এবং থানায় একাধিক অভিযোগ দাখিল হয়। কিন্তু বিবাদী নুরুন্নবী গংরা দুর্দান্ত প্রকৃতির হওয়ায় বাদশার ভোগদখলীয় জমি জোরপূর্বক দখল করে রাতারাতি বাড়ী-ঘর নির্মাণ করে।
[৫] এরই ধারাবাহিকতায় বিবাদীগণ বিভিন্ন সময় ও তারিখে বাদশা মিয়াসহ তার পরিবারের লোকজনদের গালি গালাজসহ ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসিতেছে।
[৬] এমনি অবস্থায় গত ২৯ মার্চ (রোববার) বিকেলে বিবাদীগণসহ ভাড়াটিয়া লোকজন দ্বারা দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হইয়া বেআইনী ভাবে দলবদ্ধ হইয়া বাদশা মিয়ার বসতবাড়ীতে প্রবেশ করিয়া বাড়ী-ঘর ভাংচুর এবং মারপিটসহ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতিসাধন করে। এতে ভাবী সেলী বেগম (৪০), স্ত্রী রেবেকা বেগম (৩৫), ভাগনী রুমানা খাতুন (২০) ও মেয়ে শাবানা বেগম (২২) গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। স্থানীয়রা আহতদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। পরে আহতদের মধ্যে সেলী ও রুমানার অবস্থার অবনতি হলে প্রথমে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে।
[৭] এ ব্যাপারে বাদশার ভাই আঃ সামাদ বাদী হয়ে নুরুন্নবীসহ ১৬জনকে বিবাদী করে পলাশবাড়ী থানায় একটি এজাহার দাখিল করেন। এজাহারের প্রেক্ষিতে ৩০ মার্চ (সোমবার) দুপুরে পলাশবাড়ী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ